বিপিএলের চলতি আসরের চট্টগ্রাম পর্বে মুখোমুখি দেখায় সিলেট থান্ডারের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল খুলনা টাইগার্স। ঢাকায় ফিরে বদলাটা বেশ ভালোভাবেই নিল খুলনা। টি-টোয়েন্টিতে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে দলটি।
এদিন সিলেটের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে খুলনার হয়ে ওপেনিং করতে আসেন মিরাজ ও শান্ত। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন মিরাজ, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শান্ত। সিলেটের বোলারদের শাসন করে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলেন দুজন।
পরে চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম ফিফটির স্বাদ পান মিরাজ। ৩১ বলে পাওয়া অর্ধশতকটি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে সাজান তিনি। পরে ১১৫ রানের সময় খুলনা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন এবাদত। শান্তকে ফেরান ৪১ রানে।
এরপর রুশোও ১৫ রানে আউট হয়ে গেলে মুশফিককে সাথে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন মিরাজ। ১৩ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে পাওয়া জয়ে ৬২ বলে ক্যারিয়ার সেরা ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
এর আগে টসে হেরে সিলেটের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার ও রুবেল মিয়া। ফ্লেচার একপ্রান্ত থেকে ঝড় তুললেও অপর প্রান্তে টেস্টের মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকেন রুবেল। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬২ রান। ফ্লেচার ২৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হলে নতুন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লেসকে সাথে নিয়ে দলীয় স্কোর বড় করার পথে ছুটেন রুবেল।
কিন্তু চার্লস সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, ১২ বল থেকে ১৭ রান করেন তিনি। দুই রান পরেই অবশ্য ৪৪ বলে ৩৯ রান করে শহিদুলের বলে আউট হন রুবেল। একই ওভারে মোহাম্মদ মিঠুন কোন রান না করে ফিরে গেলে মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।
এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও রাদারফোর্ড। শেষদিকে দুজনের ৫৩ রানের পার্টনারশিপে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট থান্ডার। রাদারফোর্ড ২০ বলে ২৬ ও মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।
আজকের এই ম্যাচ হারের ফলে ৭ ম্যাচে মোটে ১ জয়ে প্লে-অফের আশা অনেকটা ফিকে হয়ে গেল সিলেট থান্ডারের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট থান্ডার: ১৫৭/৪ (২০ ওভার)
রুবেল ৩৯, ফ্লেচার ৩৭, রাদারফোর্ড ২৬*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, শহিদুল ২/২৬।
খুলনা টাইগার্স: ১৫৮/২ (১৭.৫ ওভার)
মিরাজ ৮৭*, শান্ত ৪১, রুশো ১৫; রাদারফোর্ড ১/৯, এবাদত ১/২১/
ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।
Leave a Reply