প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে মোখা, উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘মোখা’ এবার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রুপ ধারণ করেছে। ঝড়টি কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। যার ফলে আতঙ্কে রয়েছে উপকূলবাসীর। হতে পারে পাহাড়ধস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী রোববার কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাব পড়তে পারে টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায়। উপকূলে আঘাত হানার সময় এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে তীব্র বাতাসের পাশাপাশি জলোচ্ছ্বাস ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় পুরোটা জলোচ্ছ্বাসের সময় ডুবে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি যে এলাকা ও দ্বীপে আঘাত হানতে পারে, তা দেশের অন্য উপকূলীয় এলাকা থেকে আলাদা। বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয় শিবিরগুলোয় ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে, সেখানে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারণ, রোহিঙ্গাদের বসতি এলাকাগুলো মূলত পাহাড়ের মধ্যে। আর ওই পাহাড়গুলোর মাটিতে বালুর পরিমাণ বেশি। ফলে ভারী বৃষ্টিতে সেখানে পাহাড়ধসের আশঙ্কাও সবচেয়ে বেশি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতি যদি মাঝারি মাত্রারও হয়, বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার আশঙ্কা আছে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুকে দেওয়া ওক পোস্টে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওপর দিয়ে আঘাত করলেও পুরো বাংলাদেশের সব উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে ঘূর্ণিঝড়টি যাত্রাপথ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ভৌগলিক অবস্থান ও আকৃতির কারণে।

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১০ থেকে ১২ ফুট।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *