চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সদস্য ফরিদ উদ্দিন হত্যা মামলায় দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি মো. মনিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মনির কুমিল্লার দেবিদ্বারের ফইয়াবাড়ীর মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। পুলিশ সদস্য ফরিদকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যাওয়াতে মনির সহযোগিতা করেছিল।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৭এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার। তিনি বলেন, পলাতক মনিরকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর নয়াবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার ও সিনিয়র এএসপি মো. জুনায়েদ জাহেদী বলেন, মো. মনির সিএনজি অটোরিক্সা চালকের পেশা বদলে ট্রাক চালাতো। হত্যাকাণ্ডের পর ভাসমান অবস্থা কখনো কুমিল্লা, কখনো ঢাকা ছিলো। পেশা পরিবর্তন হওয়া এবং স্থায়ীভাবে কোথাও না থাকায় এতদিন তাকে ধরা যায়নি। মামলার রায় হওয়ার পর র্যাব-০৭ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম স্যারের নির্দেশে আমরা কাজ শুরু করি। সপ্তাহখানেকের মাথায় তাকে আমরা ধরতে সক্ষম হই।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কনস্টেবল ফরিদ ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে আগ্রাবাদ সিএন্ডবি কলোনি এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে মালামাল কেড়ে নেয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কনস্টেবল ফরিদ হত্যায় ডবলমুরিং থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে নাছির ও রাজিব নামে দুই আসামি মামলা চলাকালেই মারা যায়।
গত ৭ মে চট্টগ্রাম ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞার আদালত জসিম উদ্দিন রাজু, মো. মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দে নামের তিন ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। অটোরিকশা চালক মনিরকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Leave a Reply