ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কারাদণ্ড

ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার এক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারের পরপরই তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তির নাম আজিমেল কদর। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ বলেন, আদালত আজিমেল কদরকে একটি ধারায় ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আরেকটি ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আদালত সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আক্তার তাঁকে তাঁর গ্রামের কাছাকাছি বদলির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন করেন বেশ কয়েকবার। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ তাঁকে বদলির জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর। ২৭ মার্চ তাসলিমা আক্তার এ নিয়ে দুদক চট্টগ্রাম জেলা অফিসে অভিযোগ করেন। এর পরদিন দুদকের একটি দল ফাঁদ পেতে ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ আজিমেল কদরকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় দুদক চট্টগ্রামের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত শেষে দুদক আজিমেল কদরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *