চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে বৃহস্পতিবার সকালে গলায় বৈদ্যুতিক তার প্যাঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মো. নুরুন নবী (৫২) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটক হওয়া নুর মোহাম্মদ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ।
জানা যায়, উপজেলার সলিমপুরের সাংগু অক্সিজেন রোড এলাকায় জনৈক মোহাম্মদ ওসমানর তেলের ডিপোতে পাহারাদার হিসাবে চাকুরি করতো নুরুননবী। ডিপোতে একই রুমে থাকতো খুন হওয়া নুরনবীর সাথে ৭/৮ মাস আগে পরিচয় হওয়া আসামী নুর মোহাম্মদও। সে একটি ট্রেলার গাড়ির হেলপার। একদিন রাতে ঘুমানোর আগে নুরনবী নুর মোহাম্মদকে নেশা মিশ্রিত পেপসি খেতে দিলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আসামী নুর মোহাম্মদ গভীর ঘুমে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে নুরুন নবী বলৎকার করে। এরপর থেকে নুরন নবী প্রায় সময় মদ খেয়ে নুর মোহাম্মদকে বলৎকার করতো। আসামী জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার রাতে ২০ জুলাই রাত ১টার দিকে আমাকে জোড় করে বলৎকার করে। এতে আমি বেশি ব্যাথা পায়। এসময় আমি নবীকে লাথি মেরে সরিয়ে দিলে সে মেঝেতে পড়ে গিয়ে মাথায় রক্তাক্ত আঘাত পায়। এরপর একটি বৈদ্যুতিক তার দিয়ে নবীকে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করি। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর নুর নবীর কাছে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে প্রথমে পালিয়ে যাওয়ায় চিন্তা করি। পরে মনে হয় যেখানেই পালিয়ে যায না কেন পুলিশ ধরে ফেলবে। সে চিন্তা করে আসামি নুর মোহাম্মদ ডাকাতরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে খুন হওয়া নুরন নবীর পরিবারকে ফোন করে জানান। মুলতঃ বলৎকারের প্রতিশোধ নিতে এ হত্যাকান্ড ঘটান নুর মোহাম্মদ। মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতা, মৃত ব্যক্তির দেহ পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে হত্যাকান্ড যে, ডাকাতদের দ্বারা সংঘটিত হয়নি তা বুঝতে পেরে মৃতের সাথে থাকা নুর মোহাম্মদকে কৌশলে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে সে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে না পারায় সে, হত্যার কথা পুলিশকে জানান। আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ মোতাবেক জবানবন্দী প্রদান করে হত্যার দায় স্বীকার করে।
Leave a Reply