চট্টগ্রামে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে গত বছরের তুলনায় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ দুটিই কমেছে। যদিও গত বছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি ছিল। এবার পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টায় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, চট্টগ্রামে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯। গত বছর ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ১১২ জন। এবার মোট ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন এবং গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪০। চট্টগ্রামে এবার পাস করেছে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং গত বছর করেছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এছাড়া এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ শিক্ষার্থী এবং গত বছর পেয়েছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ শিক্ষার্থী।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামে এবার মোট উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ৪৯১ এবং ছাত্র সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮৯২। এর মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ছাত্রদের হার ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রীর সংখ্যা ৬ হাজার ৪৪৬ এবং ছাত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৪ জন।

চট্টগ্রামে এবার তিন বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞানে পাসের হার সবচেয়ে বেশি। এই বিভাগে পাস করেছে ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৯১ দশমিক ৩ এবং মানবিক বিভাগে ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার ১ হাজার ১০৭ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২১৬ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৫টি।

শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন কক্সবাজার জেলায় ৮৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রাঙ্গামাটি জেলায় ৮১ দশমিক ৬, খাগড়াছড়ি জেলায় ৭৫ দশমিক ৮৭ এবং বান্দরবান জেলায় ৭৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এছাড়া শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় পাস করেছে ৯৪ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং মহানগর বাদে জেলায় পাশের হার ৮৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ৬০টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম এবং ১২টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম কাজ করেছে। এবারের পরীক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষায় অটোপাসের পরে শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিল। এছাড়া গত দুই বছর সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি, এবার হয়েছে। আবার এবারে গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা একটু বেশি খারাপ করেছে। সব মিলিয়ে ফলাফলে প্রভাব পড়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *