সিলেটে আজ নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আক্ষেপ করার কথা সবচেয়ে বেশি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাজে শটের পসরা বসিয়ে শুরুর শক্ত ভীত বিসর্জন দিয়ে এসেছেন তারা। যে উইকেটে ৪৫০ রান করা সহজ সেখানে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম দিনের খেলা শেষের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল বাংলাদেশ। যদিও শেষ পর্যন্ত টিকে আছেন শেষ দুই ব্যাটার তবে আগামীকাল তারা দলকে কতদূর নিতে পারে তাই দেখার বিষয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাঠে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার বাহিনী। দিন শেষে ৮৫ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১০ রান সংগ্রহ নাজমুল শান্তর দলের।
শুরুতে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দলীয় মাত্র ৩৯ রানে নিচু হওয়া বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার জাকির হাসান। এরপরে নাজমুল হোসেন শান্ত ও আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় হাল ধরেন দলের। ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করা শান্ত ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে ফুল টস বলে আউট হন। এরপরে মুমিনুল হক এসে জয়কে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন। জুটিতে ৮৮ রান হলে আউট হন মুমিনুল। তিনিও ফেরেন ৩৭ রান করে।
মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুজনেই হতাশ করেছেন।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এভাবে একের পর এক আউটে হতাশ করেছে ভক্তদের। বিশেষ করে শান্ত যেভাবে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিংয়ে ছিলেন, সেটি টেস্টের তার সাথে একজন অধিনায়কের সঙ্গে বড্ড বেমানান। আবার জাকিরের আউটও মেনে নেওয়া যায় না। ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি যেভাবে রান করেছেন, তার প্রভাব দেখা যায়নি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ভুলভাবে ব্যাট চালিয়ে ফিরেছেন শুরুতেই।
এ দিকে মুমিনুল আউট হওয়ার পর সেঞ্চুরির আশা দেখানো জয়ও হতাশ করে আউট হন। তিনি ৮৬ রান করে ইশ সোধির বলে আউট হয়েছেন। তবে জয় চাইলে ইনিংসটাকে আরও বড় করতে পারতেন। অপরদিকে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৪ রান। এরপরে চা বিরতি শুরু হয়। ফিরে এসে উইকেট খোয়ানোর প্রতিযোগিতায় নামে বাংলাদেশ। ১২ রান করে মুশফিকুর রহিম, ২৪ রান করে অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপু ও ২০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন।
শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহানও খেলতে পারেননি দায়িত্বশীল ইনিংস। ২৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ২৯ রান করে বিদায় নেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক। সোহানের এই উইকটটি ছিল গ্লেন ফিলিপসের চতুর্থ শিকার। এরপরে নাঈম হাসান ৮ রান করে আউট হলে একসময় ২ উইকেটে ১৮০ রান করা টাইগাররা ৩০০ রান করতে পারবে কি না সে প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে এ যাত্রায় রক্ষা করেছেন তাইজুল ও শরিফুল। দুজনে দলের রানকে ৩০০ পার করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ রানের এই জুটি অপরাজিত থাকে। তাতে দ্বিতীয় দিনেও দেখা যাবে বাংলাদেশের ব্যাটিং। যদিও তা ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারবে কি না তা ভাবনার বিষয়।
Leave a Reply