বিমানবন্দরে দুবাই প্রবাসীর টাকা চুরি

ওবায়দুল হক মানিক, দুবাই থেকে : সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চুরির অভিযোগ তুলে আমিরাত প্রবাসী মাসুমের ফেসবুকের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে।

সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার দুবাই প্রবাসী মাছুম উদ্দিন পহেলা জানুয়ারি দুবাই থেকে সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছেন। সিলেট বিমানবন্দরে তার চোখের সামনেই মহিলা আনসার সদস্য তার মানিব্যাগে থাকা ৭০০ দিরহাম (১৭ হাজার টাকা) নিয়েছে বলে তিনি স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন। এছাড়া বিমানবন্দরে ডিউটিরত প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। সিসি ক্যামেরা চেক করতে চাইলেও তাও করা হয়নি।

মাসুম এসব বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে একটি পোস্ট করলে মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। কপি করে শতাধিক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই পোস্ট ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

সেই প্রবাসীর ফেসবুকের বর্ণণা হবহু তুলে ধরা হলো_

“সিলেট এয়ারপোর্টের ভিতরে চুরি এবং কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতা

গত পরশু ০১ জানুয়ারি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরের ঘটনা। বোডিং পাসের পর নির্ধারিত চেকিংয়ে আমার মোবাইল, মানিব্যাগ এবং হাতের ব্যাগ স্ক্যানিং মেশিনে রেখে আমি সামনের দিকে যাচ্ছিলাম।

পেছনে তাকাতেই দেখলাম একটা মেয়ে আনসার সদস্য আমার মানিব্যাগ হাতে নিয়েছে এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবার রেখে দিছে। চেকিং শেষে এপাশ থেকে ওপাশে যখন জিনিসগুলো হাতে ফিরে পেলাম, তখন মানিব্যাগ চেক করে দেখি ৭০০ দিরহাম উদাও! যা বাংলাদেশী টাকায় ১৭০০০ হাজার টাকা হবে।

মূহুর্তেই এখানকার কর্মকর্তাদের বললাম, এই আনসার মেয়েটা আমার টাকা চুরি করেছে, এখনই সার্চ করলে দেখতে পারবেন’। তারা বললো; আমার নাকি কোথাও ভুল হচ্ছে, এই মেয়েটা এমন করতে পারে না। উপর মহলের নির্দেশ ছাড়া নাকি মেয়েটিকে চেক করা যাবে না।

তাছাড়া আমি মেয়েটার উপর অভিযোগ করায় আমার ফ্লাইট বাতিল কিংবা শাস্তিও হতে পারে বলে হুমকি দিলেন ২/১ জন কর্মকর্তা।

আমি আমার অনড় অবস্থানে থেকে সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখাতে বললাম। প্রথমে না করে, পরে দুজন আনসার সদস্য নিয়ে গেলেন আমায় সিসি ক্যামেরা রুমে।

তারা মালামাল রিসিভের সাইডের ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ আমাকে দেখালো, কিন্তু যে পাশের ক্যামেরার সামনে চুরি হয়েছে সেটা আমাকে দেখালো না। তাদেরকে সেই ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখাতে বললে, তারা আমাকে বলে ওই ক্যামেরা তাদের আন্ডারে নয়, এই ক্যামেরা চেক করতে হলে উপরের নির্দেশ ছাড়া কুনো ভাবেই দেখানো যাবে না।

আমার সময়ও কমে গেছে, ফ্লাইট এর টাইম একেবারে নিকটে, কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। পরক্ষণে তারা বললো; আপনার কোন আত্মীয়ের নাম্বার দেন, আমরা টাকাটা পরবর্তীতে পেলে পৌছে দেবো।

আজ দুইদিন গত হলো। এখনো তাদের কাছ থেকে কোন যোগাযোগ করা হয়নি।

আমার মানিব্যাগ চুরি করা আনসার সদস্যটির নাম পারভীন, বয়স আনুমানিক ২৪/২৫ হবে। আর দুইজন আনসার কর্মকর্তা হচ্ছেন এস.এম. জহির এবং হারুন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *