কিংবদন্তী ফুটসাল কার্নিভ্যাল-এর দ্বিতীয় আসরের শিরোপা জয় করেছে “নাইন্টি’স মাস্টারমাইন্ড”। দিনের শেষ ভাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উইন্টার ফেস্টিভ্যাল উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর গ্রীন ভিল আউটডোর’স মাঠে দিনব্যাপি এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়
ফুটসাল কার্নিভ্যালে দশটি দল নিয়ে রাউন্ড রবিন লীগ ফরম্যাটে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়। ফাইনালে “নাইন্টি’স মাস্টারমাইন্ড” দল “টিম মাইটি সিক্সারস”-কে ট্রাইবেকারে ১-০ গোলে পরাজিত করেন।
আয়োজনের সেরা খেলায়াড়ের পুরস্কার পান “টিম মাইটি সিক্সারস”-এর ইফতেখার রাসেল এবং সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পায় “নাইন্টি’স মাস্টারমাইন্ড”-এর সানোয়ার হোসেন বাবু।
আয়োজনে চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজ মানি হিসেবে ৪০ হাজার টাকা ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং রানার্সআপ দল ২৫ হাজার টাকা ও রানার্সআপ ট্রফি গ্রহণ করেন।
এই আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ কায়সার হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ফুটসাল কার্নিভ্যালের টাইটেল স্পন্সর ছিলেন “রংপুর স্টিল” এবং কো-স্পন্সর ছিল “রোভার ট্রাভেলস”।
ফুটসাল কার্নিভ্যালে শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন মনোমগ্ধু কর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উপস্থিত সকলে নব্বই-এর দশকে ফিরে যায়।
বিভিন্ন স্টলে শীতের পিঠা ও বাহারি খাবার পরিবেশন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে এসএসসি ২০০০ ব্যাচের প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্বজন’রা উপস্থিত ছিল।
আমরাই কিংবদন্তী (এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২) একটি অনলাইন ভিত্তিক ফেসবকু গ্রুপ, যেখানে সারা বাংলাদেশের
এসএসসি ২০০০ এবং এইচএসসি ২০০২ সালের ছাত্র-ছাত্রীদের একত্র করে একক প্ল্যাটফর্মে এনে মানব কল্যাণে কাজ করার প্রয়াসে এগিয়ে চলেছে। বন্ধুদের একত্রিত করে সামাজিক ও মানবিক কাজে সম্পৃক্ত করা। দেশজুড়ে বন্ধুদের অংশগ্রহনে আয়োজিত এই ফুটবল খেলার মাধ্যমে নিজেদের ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে মানব কল্যাণে কাজ করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
উল্লেখ্য যে “মানবতার কল্যাণে কিংবদন্তী সবখানে” এই নীতিকথা থেকেই ১৫ই নভেম্বর ২০১৭ থেকে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ৫০ হাজার সদস্যের অনলাইন পরিবারটি আগামীর পথে এগিয়ে চলছে। এই অনলাইন গ্রুপের মানবিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতেই “আমরাই কিংবদন্তী ফাউন্ডেশন” ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যৌথ মূলধনী কোম্পানী ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর হতে নিবন্ধিত হয়।
এই গ্রুপটি এর আগেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিল; তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে দেশ
জুড়ে পরিছন্নতা ও জনসচেতনতা, প্রতিবন্ধী শিশুদের সহায়তা কার্যক্রম, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ ও খাবার বিতরণ, বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা ও খাবার সরবরাহ এবং রক্তদান কর্মসূচীসহ বিবিধ কার্যক্রম।
একটি অনলাইন ভিত্তিক গ্রুপ হয়েও বন্ধুরা শুধু অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের, সমাজের বিভিন্ন কাজে এগিয়ে এসেছে বন্ধুদের গ্রুপটি। এর সাথে যুক্ত হয়েছে সমাজের কিছু সচেতন সু-নাগরিক, যারা এই গ্রুপটিকে প্রতিনিয়ত ভালো কাজে উৎসাহ দিচ্ছে।
ধারাবাহিক ভাবে গ্রুপের পিছিয়ে পড়া সদস্যসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের অসহায় মানুষদের পাশে চিকিৎসা সেবা সহ সকল মৌলিক সেবা পৌঁছে দিতে পরিকল্পনা করছে এই গ্রুপের সদস্যরা।
Leave a Reply