একদিকে শঙ্কা-উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ, অন্যদিকে উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রবিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ‘ভোটখেলায়’ আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। তাই এবার ভোটারদের মনে উৎসবের সঙ্গে জোরেশোরে শঙ্কাও ভর করেছে। তবে, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
ইতোমধ্যে আসনগুলোতে পৌঁছে গেছে ব্যালট পেপারসহ ভোটের সব উপকরণ। এবারই প্রথম ব্যালট পেপার পৌঁছানো হয়নি ভোটের আগের দিন। রবিবার সকালে ৭টার মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এসব ব্যালট তুলে দেবেন।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে নৌবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিজিবি।
এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৫ জন প্রার্থী। তবে সবার দৃষ্টি আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটযুদ্ধে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের কারণে নৌকা প্রতীক পেলেও সহজ জয়ের পথে ‘চ্যালেঞ্জ’-এ পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন ভোটের মাঠে।
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মাহবুব উর রহমান রুহেল। তবে তাঁর জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন। ভোটে ছোট-বড় আরও ৫ প্রার্থী থাকলেও নৌকার রুহেলকে কঠিন লড়াই করতে হবে শক্তিশালী গিয়াসের সঙ্গে। মানুষ ভোট দিতে পারলে এ আসনে গিয়াসের জয় ‘অপ্রতিরোধ্য’ বলে মনে করছেন ভোটাররা। ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা মিলে এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫২৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮২ জন। স্থায়ী ১০৬টি কেন্দ্রে ৭১৭টি বুথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তারা।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির ‘বাধা’ স্বতন্ত্র প্রার্থী পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব। শেষ মুহূর্তে এসে সনিকে ‘সমর্থনের’ কথা বলে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেছেন চার বারের এমপি তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। মাঠে আছেন তাঁর ভাতিজা সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ। চাচা-ভাতিজার লড়াই থামলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও স্বতন্ত্রে। এ আসনে আওয়ামী লীগের আরেক স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী রয়েছেন আরও তিনজন।
ফটিকছড়িতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৪ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ১৬,৫৮৩ জন। তিনজন হিজড়া ভোটার। কেন্দ্র আছে ১৪২টি।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে তিনবারের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তবে এবার তাকে মাড়িয়ে যেতে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পথ। বিভিন্ন দলের আরও ৫ প্রার্থী থাকলেও লড়াইটা জমবে মিতা-জামালের মধ্যে— বলছেন ভোটাররা।
সন্দ্বীপে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯১৪ জন ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৬৯ জন পুরুষ, মহিলা ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৪৩ জন। ১টি পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে কেন্দ্র আছে ৮৪টি।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আল মামুনের পথ থেকে দুই বারের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম চৌধুরী সরে দাঁড়ালেও ‘কাঁটা’ হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. ইমরান। ফলে অন্য দলের ৫ প্রার্থীর মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরানের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। তবে, এ আসনে স্বতন্ত্রকে খুব একটা ‘মাথায়’ নেয়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগ। মামুনের সঙ্গে অনেকটা ‘নিশ্চিন্ত’ সময় পার করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু, স্বতন্ত্রের ইমরানও ‘নাছোড়বান্দা’ শেষ মুর্হূর্ত পর্যন্ত ‘দৌড়ে’ গেছেন।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) : উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি এম এ সালামকে নৌকার বহর থেকে নামিয়ে জোটের ‘ভাগ’ নিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ভোটের মাঠে লাঙল নামালেও বাধা হয়েছে আওয়ামী স্বতন্ত্র। জোটসঙ্গীরা পাশে না থাকায় তাকে লড়তে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ শাহজাহানের সঙ্গে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর ‘সঙ্গ’ দেয়ায় খুব একটা সহজ হচ্ছে না আনিসুলের নির্বাচনীযাত্রা। তাদেরও ডিঙাতে হবে বিএনএফ, সুপ্রীম পার্টি, গণতান্ত্রিক ফোরাম, ইসলামী ফ্রন্ট ও ইসলামীক ফ্রন্টের মতো দলের ৫ প্রার্থীকে।
চট্টগ্রাম-৬ ( রাউজানে) : এখানে ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে করিম চৌধুরী। এবার সংসদে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে মন্ত্রীর ‘চেয়ারে’ দেখতে চান ভোটাররা। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিউল আজম থাকলেও ভোটারদের সব হিসাব-নিকাশ ফজলে করিম চৌধুরীকে ঘিরেই। প্রার্থী আছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামিক ফ্রন্টেরও।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এই আসনে ‘অপ্রতিরোধ্য’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। দলের কেউ তাঁর বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি, নেই অন্য দলের হেভিওয়েট কোনো প্রার্থীও।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) : নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদকে ‘বিসর্জন’ দিয়ে এই আসনটি ‘জোটবন্ধু’ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আসন ভাগে পেলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ‘কাবু’ করতে পারেনি ‘ভাগীদার’ সোলায়মান আলম শেঠ। ‘তকদির’ খারাপ তাঁর। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম ও বিজয় কুমার চৌধুরীর ‘শক্তিশালী’ অবস্থানে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন শেঠ। আরও ৮ প্রার্থী থাকলেও মূলত তাদের ঘিরেই ভোটারদের যত হিসেব নিকেশ।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) : এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আরো ৬ প্রার্থী থাকলেও মহিউদ্দিনপুত্রেরই জয় হবে— এমনটাই হিসাব কষে ফেলেছেন ভোটাররা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিদ্বন্দ্বীই ধরে নিয়েছেন তিনি। গেছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং- পাহাড়তলী-হালিশহর) : এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর সঙ্গে জমবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মঞ্জুর আলমের সঙ্গে। ‘তালে’ আছেন আওয়ামী স্বতন্ত্র ফরিদ মাহমুদও।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনবারের এমপি এম এ লতিফকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চাপের মুখে ফেলেছেন চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। নগর আওয়ামী লীগকে সাঙ্গ করে প্রচারণার চালিয়ে গেছেন তিনি। জয়ের ব্যাপারে শুরু থেকে ‘কনফিডেন্ট’ লতিফ, সুমনও শতভাগ আশাবাদী। অন্যান্য আসনের মতো এ আসনেও ‘খেলা হবে’ লতিফ বনাম সুমনের।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : শুধু চট্টগ্রাম নয়, সারা দেশে আলোচনার আসন পটিয়া। ভোটের মাঠে চলছে, বর্তমান সংসদ সদস্য হুইপ সামশুল হক চৌধুরীকে হটাতে নাকি পর্দার অন্তরালে ‘কলকাঠি’ নাড়ছে দেশের বৃহৎ একটি শিল্পগ্রুপ। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলামের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন হুইপ সামশুল। ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এম এ মতিনসহ এ আসনে প্রার্থী আছেন ৬ জন। তবে লড়াইটা সামশুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আওয়ামী প্রার্থী মোতাহেরের সঙ্গে। তাদের ঘিরে আশঙ্কা রয়েছে সংঘাতেরও।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। আছে জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, ইসলামী ফ্রন্ট, সুপ্রীম পার্টির মতো কয়েকটি দলের ৬ প্রার্থী। এই আসনেও জাবেদের জয় অনিবারণীয়।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) : বীরমুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। তবে মানতে পারেন নি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার চৌধুরী। উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ার ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তিনি। দুই চৌধুরীতেই জমবে এ আসনের ভোটখেলা।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) : সবাইকে অবাক করে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। দলীয় ‘বলয়ে’ শক্ত অবস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব। ‘ভোটখেলা’ হবে তাঁদের দুজনের সঙ্গে। মোতালেবের ‘জয়জয়কার’ হলেও নদভীর কি ‘খেল’ শেষ পর্যন্ত দেখতে ‘উন্মুখ’ ভোটাররা।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : ভোটের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত ‘বিতর্কিত’ কর্মকাণ্ডে শীর্ষ অবস্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। সাংবাদিকদের মারধর, পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি— কিছুই বাদ রাখেন নি ভোটের মাঠে। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মুজিবুর রহমান সিআইপিকে কিভাবে ‘ট্যাগেল’ দেন দেখার বিষয়। মোস্তাফিজ-মুজিবুর ‘খেলায়’ সুবিধা করতে চান আবদুল্লাহ কবির লিটন। এ আসনেও প্রার্থীর ছড়াছড়ি। আওয়ামী ও আওয়ামী স্বতন্ত্র বাদে প্রার্থী আছেন আরও ৭ জন।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন।
চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২০২৩টি এবং ভোট গ্রহণ কক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৩ হাজার ২১৯। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকবে মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।
চট্টগ্রামের ১০টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জানান, রবিবার সকাল ৭টার মধ্যে প্রত্যেক নির্বাচনী আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ব্যালট বিতরণ শেষ করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করা হবে এবং নগরীর চারটি আসনের জন্য আলাদা তিনটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বিজিবি, আনসার কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। কোনো ভোটারকে যদি কেউ বাধা দেয়, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
Leave a Reply