ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) মেধাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তবে ধর্ষক একা ছিল নাকি একাধিক ছিল সেটি জানার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া তার গলা এবং মুখমণ্ডল নখের আঁচড়ের চিহ্নও পাওয়া গেছে।
সকালে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হওয়া ঢাবির ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বোর্ডের প্রধান করা হয় গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সালমা রবকে। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগ ও ইএনটিসহ অন্য বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন বোর্ডে।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। এছাড়া মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস থেকে নেমে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খিলক্ষেত থানা এলাকার শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির একটি বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেকের ওসিসিতে ভর্তি করান সহপাঠীরা।
Leave a Reply