দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গতকাল শপথ নিয়েছেন নতুন সংসদ সদস্যরা। আজ মন্ত্রিসভার ৩৭ সদস্য শপথ নেন। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগের মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য নতুন মন্ত্রিসভায়ও স্থান পেয়েছেন। এমনকি তাদের কারও কারও পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ও পরিবর্তন হয়নি।
এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীসহ এবারের মন্ত্রিপরিষদে সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছেন ৩৭ জন। এর মধ্যে ২৫ জনকে পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১১ জনকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
মন্ত্রী হিসেবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন –
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়; সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়)
আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
ওবায়দুল কাদের (সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়)
জনাব আবুল হাসান মাহমুদ আলি (অর্থ মন্ত্রণালয়)
আনিসুল হক (আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (শিল্প মন্ত্রণালয়)
আসাদুজ্জামান খান কামাল (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)
মো. তাজুল ইসলাম (স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়)
মুহাম্মদ ফারুক খান (বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়)
মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়)
ডা. দীপু মনি (সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়)
সাধন চন্দ্র মজুমদার (খাদ্য মন্ত্রণালয়)
জনাব আব্দুস সালাম (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়)
মো. ফরিদুল হক খান (ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়)
নারায়ণ চন্দ্র দাস (ভূমি মন্ত্রনালয়)
জাহাঙ্গীর কবির নানক (বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়)
মো. আব্দুর রহমান (মৎস ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয়)
মো. আব্দুস শহীদ (কৃষি মন্ত্রণালয়)
স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় )
ডা. সামন্ত লাল সেন (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়)
মো. জিল্লুল হাকিম (রেলপথ মন্ত্রণালয়)
ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়)
নাজমুল হাসান পাপন (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়)
সাবের হোসেন চৌধুরী (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়)
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন –
নসরুল হামিদ বিপু (বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়)
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়)
জুনাইদ আহমেদ পলক (ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়)
জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়)
সিমিন হোসেন রিমি (মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়)
মো. মহিববুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়)
মোহাম্মদ আলী আরাফাত (তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়)
শফিকুর রহমান চৌধুরী (প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়)
রুমানা আলী (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়)
আহসানুল ইসলাম টিটু (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়)।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।
নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকি ২৯৮টি আসনের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ২২২ আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। বাকি ৬৫ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টি পেয়েছে একটি করে আসন।
স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হওয়া ৬২ জনের মধ্যে ৫৯ জন আওয়ামী লীগের নেতা। জাতীয় পার্টি যে ১১টি আসনে জয়লাভ করেছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়া জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে আর কল্যাণ পার্টি যে আসনে জিতেছে সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন দিয়েছে।
Leave a Reply