ভোটের দিন নগরে গুলিবিদ্ধ হওয়া সেই শান্ত বড়ুয়া আদালতে চট্টগ্রাম-১০ আসনে সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী জিন্নাত মহিউদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চতুর্থ আদালতে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। আদালত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শাহনেওয়াজ মাহমুদ চৌধুরী।
মামলায় মহিউদ্দিন বাচ্চুর স্ত্রী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণ ও তার স্ত্রী কাজল, মাহমুদুর রহমান, মোহাম্মদ কামাল ওরফে কাঁচি কামাল এবং রাবেয়া মুন্নী মেরী।
আদালতে দায়ের করা অভিযোগে বাদী শান্ত বড়ুয়া জানান, তিনি চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সিটি মেয়র মনজুর আলমের সমর্থক। ঘটনার দিন (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের সমর্থকদের বের হয়ে যেতে বলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুর আলমের ছেলে বিষয়টির প্রতিবাদ করলে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্দেশে ১নং আসামি মোহাম্মদ হোসেন হীরণসহ অপরাপর আসামিরা বাদীকে মারধর করেন। একপর্যায়ে হীরণ কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি ছুড়লে বাদীর পেটে বিদ্ধ হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে মামলা করতে খুলশী থানায় যান বাদী। থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বাদী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি সকালে পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করেন ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক ভিপি ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত শামীম আজাদ ওরফে ব্লেড শামীম। এতে শান্ত বড়ুয়া ও জামাল নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনার পরের দিন (৮ জানুয়ারি) রাতে সীতাকুণ্ড থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় দুই রাউন্ড গুলিসহ ব্লেড শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। ব্লেড শামীমের ছোড়া গুলিতেই জামাল ও শান্ত গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।
Leave a Reply