সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙেছেন হাসিনা-মোদি: কাদের

প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সংশয়, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতিতে ভারত আমাদের সঙ্গে প্রতিবেশী হিসেবে যে আচরণ করেছে তা দরকার ছিলো। বিএনপি যখন কোনো কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল, তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

‘আমি মনে করি, সংশয় ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের চিড় ধরার কোনো কারণ নেই,’ বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উন্নয়ন, বিনিয়োগ দরকার সরকারের। যে দিবে সরকার তাকেই স্বাগত জানাবে। ভারত, চীন, জাপান যে উন্নয়নে অর্থ দিবে তাতে অসুবিধা নেই।’

নতুন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের শপথ নেওয়ার ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের এটাই প্রথম সাক্ষাৎ।

বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোড কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর ভারতের সহায়তা কোন কোন খাতে নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে পরে আলোচনা হবে।

দুই দেশের মধ্যে অভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, ক্রস বর্ডার বিষয়ে আমরা সব সময়ই একমত।

ভরতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের বলেন, নতুন সরকার দুই দেশের যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক উন্নতির অংশীদারিত্বের বিষয় অব্যাহত রাখবে বলে আশা করি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, জ্বালানি সংকট, ডলার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানুষের ক্রয় সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয় সরকারের এজেন্ডায় গুরুত্ব পাবে।

শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন চলবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন চ্যালেঞ্জ আসবে, তখন সহিংস কোনো কর্মকাণ্ড হলে সেটা মোকাবেলা করতে হবে।

আর সরকার পতনে বিএনপির স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ সময় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আদালতের রায় নিয়েও কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, যে শ্রমিকদের বঞ্চিত করেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হবেই। এটা শ্রমিকের মামলা, সরকার করেনি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *