খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী।
গতকার শনিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন তিনি। তবে রবিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে হাসপাতাল থেকে ওই তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওসিসির কো-অর্ডিনেটর ডা. সুমন রায় জানান, ডুমুরিয়ার ২৮ বছরের এক তরুণী শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে খুমেক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে তাকে ওসিসিতে রেফার্ড করা হয়। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
ওই তরুণী বলেন, ‘মধুগ্রাম কলেজে পড়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে দীর্ঘদিন আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে। কিন্তু পরে বিয়ের কথা বললেই সে টালবাহানা করছে। আজও সে (শনিবার রাতে) আমার সঙ্গে অনৈতিক ব্যবহার করেছে।
ওই তরুণীর ভাই অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শনিবার রাতে মোবাইল করে তার বোনকে শাহপুর এলাকায় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকদিন ধরে তার বোনকে ধর্ষণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। ওই দিন তার বোন চেয়ারম্যানকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে তাড়িয়ে দেন। তিনি ডুমুরিয়া থানায় গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
তবে সাংবাদিকদের কছে অভিযোগ অস্বীকার করে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। ফলে সত্যমিথ্যা কিছুই বলতে পারছি না। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
তবে বাংলাদেশ মানবধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম জানান, রবিবার বিকেলে ধর্ষণের অভিযুক্ত তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের ওয়ান—স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় ডুমুরিয়ার ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে জনতা। ওই চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদেও চাচাতো ভাই।
তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply