১৪৮ বল হাতে রেখেই নেপালকে হারালো বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। ব্লুমফন্টেইনে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৪৮ বল আগেই ৫ উইকেটে জয় তুলে নেয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার সিক্সের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচটি অনেক বড় ব্যবধানে জিততে হবে জুনিয়র টাইগারদের।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রোহনাত দৌল্লাহ বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবনের বোলিং তোপে নেপালকে ১৬৯ রানে থামিয়ে দেয় ২০২০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট হারালেও জয় পেতে মোটেও কষ্ট হয়নি। ওপেনিংয়ে ৬৭ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়েই মূলত সহজ জয়ের ভিতটা পেয়ে যায় বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর দুই ম্যাচে একাদশে ছিলেন না জিসান আলম। বুধবার নেপালের বিপক্ষে ফিরেই তোপ দাগালেন এই ওপেনার। আশিকুর রহমান শিবলি অবশ্য ১৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। এরপর চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেও ১৫ রানের বেশি যেতে পারেননি।

এদিকে বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জিসান। যদিও ইনিংসটাকে লম্বা করতে পারেননি এই ওপেনার। ৪৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ৫৫ রানের ইনিংসটি। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলাম আর আহরার আমিন মিলে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ৩৭ বলে ৪৫ রানের জুটি হতেই কাটা পড়েন সহ-অধিনায়ক আহরার (১২)। স্কোরবোর্ডে আরও ১৬ রান যোগ হতে শিহাব জেমস রানের খাতা না খুলেই আউট হন। বাকি পথটা অবশ্য আরিফুল ইসলাম ও শেখ পারভেজ জীবন ১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পেরিয়ে যান। ২৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল ইসলাম এই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ৩৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

নেপালের বোলারদের মধ্যে একমাত্র সুবাস ভান্ডারি বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর চাপ তৈরি করতে পেরেছেন। নেপালের এই স্পিনার একাই নেন পাঁচ উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল। শুরুতেই ২৯ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। যদিও চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক দেব খানাল ও বিশাল বিক্রম মিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন। তাদের ৬২ রানের জুটিতেই মূলত নেপাল মাঝারি মানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। ৬০ বলে ৩৫ রান করে অধিনায়ক দেব আউট হতেই ফের ছন্দপতন ঘটে ইনিংসে। বিশাল বিক্রম এক প্রান্ত আগলে লড়াই করলেও সঙ্গীর অভাবে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০০ বলে ৬ চারে ৪৮ রানে আউট হন তিনি। এছাড়া নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা সুবাস ভান্ডারির অপরাজিত ১৮ রান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নেপালের স্কোর দেড়শ’ ছাড়াতে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রোহনাত দৌল্লাহ বর্ষণ ১৯ রান খরচায় নিয়েছেন চার উইকেট। এছাড়া অফস্পিনার পারভেজ নিয়েছেন ৩৪ রান খরচায় তিন উইকেট। ইকবাল হোসেন, মারুফ মৃধা ও জিসান আলম পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

এই জয়ে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়ে হলো ৪। তারা আছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। তাদের রেটিং পয়েন্ট +০.৩৪৮। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট করে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের নামের পাশে। নেট রান রেটের ব্যবধানে ভারত শীর্ষে (+৩.৩২৭) ও পাকিস্তান দুইয়ে (+১.০৬৪) অবস্থান করছে।

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *