প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল কুমিল্লা

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসরের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই যেন বাড়ছে উত্তেজনার রসদ। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত দুই দলের প্লে-অফ নিশ্চিত হলেও এখনো বাকি দুই দল। সেই লক্ষ্যে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে আজ সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে সিলেট। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করত এসে ধীরগতির শুরু করেন অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার ও আব্দুল মাজিদ। ওপেনিং জুটিতে ৩২ বলে ২৭ রান যোগ করেন দুজন। যেখানে ২৫ বলে ফ্লেচারে অবদান ২২ রান।

জনসন চার্লসকে নিয়ে রান প্যাডেলে পা দেন মাজিদ। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ৩৭ রানের পার্টনারশিপের মাথায় আল-আমিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন চার্লস। আউট হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৬ রান করে যান ক্যারিবিয়ান এ ব্যাটসম্যান। পরে মাজিদের ৪০ বলে ৪৫ রানের সাথে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১৮ রান।

শেষদিকে জীবন মেন্ডিসের ১১ বলে ২৩ রানের ছোটখাট ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৪১ রনের পুঁজি পায় সিলেট থান্ডার। ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের হয়ে আল-আমিন হোসেন ও ডেভিড উইজ নেন ২টি করে উইকেট।

১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। ইনিংসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারেই তারা হারিয়ে বসে দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও ফারদীন হাসানকে। স্পিনার নাঈম হাসানের জোড়া শিকার হওয়ার আগে থারাঙ্গা করেন ১৪ বলে ৪ রান, ফারদীনের ব্যাট থেকে আসে ৪ বলে ১ রান।

শুরুর এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগে কুমিল্লার। মাঝে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১১ রান করে আউট হলে ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। এবার সৌম্য সরকারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন দলীয় অধিনায়ক ডেভিড মালান, তুলে নেন চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি।

৪৯ বলে ৫৮ রান করে মালান আউট হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৭২ রানের রানের জুটি। শেষদিকে সৌম্যর দুর্দান্ত অর্ধশতকে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। সৌম্য ৩০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেট থান্ডারের হয়ে নাঈম হাসান নেন ৩ উইকেট।

কুমিল্লার এই জয়ের ফলে অনেকটা জমে গেল বিপিএলের পয়ন্ট টেবিল। ১০ ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের আশা এখনো বাঁচিয়ে রাখল কুমিল্লা। এদিকে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা সিলেট বিপিএলের সপ্তম আসর শেষ করলো হার দিয়েই। ১২ ম্যাচে মোটে ১টি হয়ের স্বাদ পেয়েছে দলটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট থান্ডার: ১৪১/৫ (২০ ওভার)
মজিদ ৪৫, চার্লস ২৬, মেন্ডিস ২৩; আল-আমিন ২/৩০, উইজ ২/৩২।

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৪২/৫ (১৯.১ ওভার)
মালান ৫৮, সৌম্য ৫৩*, উইজ ১৩; নাঈম ৩/২১, এবাদত ১/২৬।

ফল: কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *