ঢাকাকে লজ্জায় ডুবিয়ে প্লে-অফের আশা বাঁচাল চট্টগ্রাম

টানা হারের ক্ষত নিয়ে বিপিএল পার করছে দুর্দান্ত ঢাকা। টানা দশ হারে বিপিএলের ইতিহাসে টানা হারের নতুন রেকর্ড করেছে রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজি। তাদের বিপরীতে অবস্থা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। বিপিএলের চতুর্থ পর্বের স্বাগতিকরা টিকে আছেন বিপিএলের প্লে-অফের দৌড়ে। সেরা চারের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না তুষার ইমরান শিষ্যদের।

কিন্তু এমন এক ম্যাচেই কিনা নিজেদের সবচেয়ে বাজে ফিল্ডিং উপহার দিল চট্টগ্রাম। তিন ক্যাচ মিস ছাড়াও নিজেদের ভুলে ঢাকাকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিল বন্দরনগরীর দলটি। তবে শেষ দুই ওভারে বিলাল খান এবং শহিদুল ইসলামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যের কাছেই থেমে যায় ঢাকা। ১৬০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ঢাকা থেমেছে ১৪৯ রানে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জয় ১০ রানে।

এই হারের পর টানা ১১ ম্যাচ হারের লজ্জায় ডুবল দুর্দান্ত ঢাকা। আর ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল চট্টগ্রাম। পরের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারাতে পারলেই বন্দরনগরীর দলটি চলে যাবে প্লে-অফে।

চট্টগ্রামের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মনমতো হয়নি ঢাকার। শুভাগত হোমের দুই বলে ফিরে যান অ্যাডাম রসিংটন এবং সাব্বির হোসেন। দুজনেই ফিরেছেন ক্যাচ আউটের ফাঁদে। ঢাকাকে আরও চেপে ধরতে পারত চট্টগ্রাম। তবে শুভাগতের বলেই অ্যালেক্স রসের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন তানজিদ তামিম। খানিক পরেই নাইম শেখের ক্যাচ ছাড়া হয় বাউন্ডারি লাইনে।

এরপরে দুজনের জুটি ভুগিয়েছে চট্টগ্রামকে। ৫১ রানের এই জুটি থামিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। তার খাটো লেন্থের বল খেলতে গিয়ে জশ ব্রাউনের ক্যাচে পরিণত হন নাইম। ৮৯ রানে শন উইলিয়ামসের উইকেট ঢাকাকে নিয়ে যায় খাদের কিনারায়। তবে অ্যালেক্স রসের কল্যাণে ঠিকই লক্ষ্যে এগুতে থাকা তারা।

ফিফটির পরপরেই অবশ্য রস নিজেও ফিরে যান সাজঘরে। দারুণ বোলিং করা সালাউদ্দিনের বলে শুভাগতকে ক্যাচ দেন রস। এরপরেও ঢাকার সম্ভাবনা ছিল। তবে বিলাল খানের ১৯তম ওভার আর শহিদুলের দারুণ বোলিং ঢাকাকে থামিয়েছে ১৪৯ রানেই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *