চট্টগ্রাম নগরীর বেশিরভাগ বিপণিবিতানে নেই নিজস্ব কোনো আগুন নেভানোর ব্যবস্থা। ফলে এখানে আগুন লাগলে বড় রকমের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সবাই। ফায়ার সার্ভিস বলছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে মার্কেটগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এসব মার্কেট প্রতিষ্ঠার সময় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরিকল্পনায় রাখা হয়নি, যার ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রতিটি মার্কেট।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রামের ব্যস্ততম রেয়াজুদ্দিনবাজার মোড় থেকে স্টেশনরোড পর্যন্ত ছোট-খাটো বিপণিবিতানের সংখ্যা অন্তত চার শতাধিক। এসব মার্কেটে প্রতিদিন লক্ষাধিক দোকান-কর্মচারী, মালিক ও ক্রেতার সমাগম ঘটে। রোজায় ক্রেতার সংখ্যা বাড়ে আরও কয়েকগুণ।
কিন্তু সরু ঘিঞ্জি পরিবেশে অপরকিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব মার্কেটে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। কোনো কারণে এসব মার্কেটে আগুন লাগলে পরিস্থিতি কী হবে তা ভেবে শঙ্কিত ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই।
ক্রেতারা বলছেন, বিপণিবিতানগুলোতে নিজস্ব কোনো আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই বলে আগুন লাগলে বড় ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন ঘিঞ্জি পরিবেশে শত শত দোকান থাকায় যে কোনো সময় এখানে আগুন লাগতে পারে। মার্কেটের এক মাথায় কিছুদিন আগেও আগুন লেগেছিল।
সম্প্রতি বিভিন্ন আগুনের ঘটনার পর বিপণিবিতানগুলোকে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহাকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা পরামর্শ দেওয়ার পর ব্যবসায়ীরা তা না মানলে অগ্নিঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়। তবে আমরা আশা করছি মার্কেট কর্তৃপক্ষ আমাদের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করবেন।’
এদিকে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহমদ কবির দুলাল জানান, এসব মার্কেট প্রতিষ্ঠার সময় যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি। এতকাল পর এসে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়াও কঠিন।
তবে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply