প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও কুবিতে মিললো না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বাস

কুবি প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় বাস বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়ে আসলেও এখনও মিলেনি সেই সোনার হরিণ নামে পরিচিত কুবির বাস।

প্রয়োজনের তুলনায় কম বাস থাকায় প্রতিদিন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে ১৯ টি বিভাগে প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও পরিবহণ পুলে যুক্ত হয়নি একটি বাসও। তাই শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, কুবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারিনি কখনও। কেন প্রতিবার আন্দোলন করতে হবে বাস বৃদ্ধির জন্য!

বাসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরিবহন পুলে, বাস সংক্রান্ত মতামতের প্ল্যাটফরম ও ফেইসবুক পেইজে প্রতিনিয়ত অভিযোগ করলেও নিশ্চুপ ভুমিকা পালন করছে কুবি প্রশাসন।

বিআরটিসি এবং কুবি প্রশাসনের খামখেয়ালি পনায় চলছে কুবির পরিবহন সেক্টর। ফিটনেস বিহীন, নষ্ট গাড়ি পাঠিয়ে দায়সাড়া ভাবে চুক্তি রক্ষা করছে বিআরটিসি আর এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী অভিযোগ করলেও কোন পদক্ষেপ নেয় নি পরিবহন সেক্টর। একে অপরকে দোষারোপ করেই চলেছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিআরটিসি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকার কথা থাকলেও কয়েকটি ছাড়া বাকি বাসে নামের কোন চিহ্ন নেই। আর এই নামবিহীন বিআরটিসি বাসগুলোই সবচেয়ে বেশি দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

ফিটনেস বিহীন বাস জোড়াতালি দিয়েই চলছে কুবির পরিবহন সেক্টর। বিআরটিসির ভাড়ায় চালিত লাল বাস রয়েছে ১১ টি যার বেশির ভাগেরই নেই ফিটনেস, কুবির নিজস্ব বাস রয়েছে ৫ টি তার মধ্যে একটি বাস নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে প্রায় ৩/৪ মাস আগ থেকে।

লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী এ এম নুর উদ্দীন হোসাইন বলেন, “বাস সংকট কুবিতে দীর্ঘদিনের। এটার জন্য স্বারকলিপি কিংবা আন্দোলনও কম হয়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চরমে গেলে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন।

বিভিন্ন সময় আন্দোলন থামাতে প্রশাসন থেকে বাস বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কুবিতে আসবে ৮টি দোতলা বাস। কিন্তু আশ্বাস শুধু আশ্বাসেই রয়ে গেছ।

পরিবহন পুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, “বাসের ট্রীপ ৫৮ থেকে ৭০ টা করা হয়েছে। বাসের সংখ্যা না বাড়লেও ট্রিপ বাড়িয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। জনবলের অভাবে আমার একার পক্ষে পুরো দায়িত্বটা পালন করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আমি প্রশাসনকে জনবল বাড়ানোর কথা বলেছি।

পরিবহন পুলের উপদেষ্টা মো. এমদাদুল হক বলেন,”জানুয়ারি-ফ্রেবুয়ারিতে বাসের উপর অনেক চাপ পড়ে এবং পরবর্তীতে চাপটা কমে যায়। প্রশাসন এই বিষয়টা নজরে রেখেছে। তিনটা বাস কেনার টেন্ডার আহ্বান করার কাজ শেষ হয়েছে। আপদকালীন সমস্যা সমাধানে আমরা আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবো।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সেক্টরের সুনিদির্ষ্ট কোন নীতিমালা নেই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *