খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চারজন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি,এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক:প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, তাঁর (ইসমত আরা) সবচেয়ে বড় গুণ ছিল সততা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেম।

তিনি বলেন, ‘ইসমত আরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা, সততা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে গেছেন যা ছিল তাঁর সব থেকে বড় গুণ।’

সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে গৃহীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় একথা বলেন।

ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দিনের কার্যসূচির শুরুতেই এই শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ইসমত আরা সাদিক আজ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

সংসদ নেতা বলেন, ইসমত আরা সাদেক অত্যন্ত সাবলীল এবং সর্বোত্তমভাবে কাজ করেছেন এবং তাঁর কাজের মাধ্যমেই তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়কে গতিশীল করে তোলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ইসমত আরা সাদেক ব্যাপক উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে তাঁর সংসদীয় আসন যশোরের কেশবপুরকে আলোকিত করেছেন।
‘তিনি (ইসমত আরা) তাঁর সংসদীয় আসনের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক ছিলেন,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে অকালে চলে যাবেন তা ভাবতেও পারিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসমত আরা সাদেক এক সময় গৃহবধু ছিলেন। তখন তিনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু সে সময় তিনি রাজনীতিতে ততটা সক্রিয় ছিলেন না।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন ১৯৯২ সালে তাঁর (ইসমত আরা) স্বামী এএইচএসকে সাদেক আওয়ামী লীগে যোগ দেন, সে সময় ইসমত আরাও দলের জন্য কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

‘সে সময় তাঁরা দুজনেই আমার কাছে আসেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করেন, ’যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংসদ নেতা বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একের পর এক আমরা চারজন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী ইসমত আরা’র বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার সহ তাঁর (প্রয়াত সংসদের) সংসদীয় আসনের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *