মাহফুজ বাবু, : স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে চান্দিনা ও বাগুর মহাসড়কের সরকারি খাল ও উভয় পাশের পুরো ফুটপাত সহ সড়কের বিভিন্ন অংশ। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের হাঁটতে হচ্ছে ব্যাস্ত মহাসড়ক দিয়েই। এর ফলে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির মত ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা যায় স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাল ও মহাসড়ক দখলে নিয়ে মার্কেট সহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দৈনিক ও মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে। ফুটপাত ছাড়িয়ে মহাসড়কের ওপরেই পসরা সাজিয়ে বসেন হকাররা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মিত ওভারপাস ব্যবহারে অনিহা পথচারীদের। ঝুঁকি নিয়ে ব্যাস্ত মহাসড়কের ডিভাইডার ডিঙ্গিয়ে পথচারীদের রাস্তা পাড়াপাড়ের চিত্র চান্দিনা বাগুর বাসস্টেশনে নিত্যদিনের। এছাড়াও মহাসড়ক দখল করেই স্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ফিটনেস, সঠিক নাম্বারপ্লেট ও কাগজপত্র হীন অবৈধ মাইক্রোবাস মারুতি লেগুনা পরিবহণ। ৬ থেকে ৮জন বহনকারী এসব গাড়িগুলোতে ঠাসাঠাসি করেই ওঠানো হয় ১৬ থেকে ১৭ জন যাত্রী। চালক যাত্রী সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, “মুড়িরটিন” খ্যাত সল্পপাল্লার লক্কর ঝক্কর এসব গাড়ির অধিকাংশ চালকই অদক্ষ ও লাইসেন্সহীন। কেবল মাত্র টোকেনের জোরে মহাসড়কে চলাচলকারী দরজা খোলা এসব পরিবহন যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুরদূত। বিভিন্ন সময় নিমসার, মাধাইয়া ও ইলিয়টগঞ্জ সহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান হলেও অদৃশ্য কারনে চান্দিনা বাগুর মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা অপসারণে কর্তৃপক্ষের নেই কোন পদক্ষেপ, আর তাই অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে এখানে। এমনটাই দাবী এই সড়কে চলাচলকারী ভুক্তভোগী যাত্রী ও পথচারীদের।
এবিষয়ে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যেই কুমিল্লা মহাসড়কের বেশকিছু এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। চান্দিনা ও বাগুরা এলাকায় খুব শীঘ্রই মহাসড়কের জমি ও সড়কের ফুটপাথ সহ বিভিন্ন অংশের সকল অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হবে। এ বিষয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply