প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা তোমাদের দায়িত্ব:শিক্ষা উপমন্ত্রী

মুজিব বর্ষের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগরীর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া দশটি দ্বিতল বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

নগরের বহদ্দারহাট থেকে নিউমার্কেট ও অক্সিজেন থেকে আগ্রাবাদ রোডে দ্বিতল বাসগুলো চলবে। দূরত্ব যতই হউক শিক্ষার্থীদের জন্যে ভাড়া মাত্র ৫ টাকা। মুজিববর্ষের শুরুতেই পাওয়া এ উপহার পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় চট্টগ্রাম এম,এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম থেকে এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বেলুন উড়িয়ে বাস সার্ভিসের উদ্বোধন

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলমাস শিমুল উপস্থিত ছিলন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই উপহার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করা তোমাদের দায়িত্ব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী তোমাদের জন্য দশটি বাস উপহার দিয়ে তিনি তার কথা রেখেছেন, তোমাদের উচিত হবে পড়াশোনা করে যোগ্য মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে তার মর্যাদা রক্ষা করা।

ফিতা কেটে বাস সার্ভিসের উদ্ধোধন করে অতিথিদের নিয়ে বাসের সিটে বসেন শিক্ষা উপমন্ত্রী

উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে একটি মানসিকতা রয়েছে। স্কুল-কলেজ শেষ করে আমাদের বড় বড় চাকরি পেতে হবে, সরকারি বড় পদে যেতে হবে। এই যে চিন্তাটা, অত্যন্ত সংকীর্ণ চিন্তা। তোমাদের সব সময় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। শিক্ষাজীবন শেষ করে সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতে কোনো লজ্জা নেই। কোনো পেশাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়।

তিনি বলেন, বড় বড় নেতাদের পিছনে ঘুরাঘুরি করা ছাত্রনেতাদের কাজ নয়। ছাত্র-ছাত্রীরা কি চায় সে জিনিসটা জানতে হবে। গঠনমূলক রাজনীতি করলে অবশ্যই ছাত্ররাজনীতির প্রতি আস্থা আসবে এবং ছাত্ররাজনীতি সার্থক হবে।

আলোচনা সভা শেষে বাসগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উপহার দেয়া বাস

উদ্বোধিত দশটি বাস নগরের দুটি রোডে মর্নিং এবং ডে শিফটে স্কুল শুরু এবং ছুটির সময়ে চলাচল করবে। প্রতিটি বাসে ৭৫টি আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল পোশাক পরিহিত অবস্থায় বাসে উঠতে হবে। প্রতিটি বাসে ছয়টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে,যা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। শিক্ষার্থীরা যে কোনো দূরত্বে মাত্র পাঁচ টাকায় ভাড়ায় চলাচল করতে পারবে। এ বাসে কোনো সুপারভাইজার কিংবা কোনো টিকিট কাউন্টার থাকবে না। শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় কাউন্টারে পাঁচ টাকা ভাড়া দিয়ে দিবে।

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *