সিএনজিতে ফেলে যাওয়া ইতালির গ্রীনকার্ড ফেরত দিল পুলিশ

ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ইতালি গিয়েছিলেন নুর হাসিব আহমেদ চৌধুরী। চার বছর তার স্বপ্ন পূরণ হয় কাঙ্খিত গ্রীনকার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে। গ্রীন কার্ড পেয়ে মাতৃত্বের টানে বেড়াতে আসেন জন্মভূমিতে।

স্বভাবতই তার মনের মধ্যে অনেক আনন্দ উঁকিঝুঁকি মারছিল। সিএনজিতে ভ্রমণকালে ভুলক্রমে তার কাঁধের ব্যাগটি ফেলে যায়! ফেলে যাওয়া ব্যাগের জন্য তার টেনশনের শেষ নেই! কারণ ঐব্যাগের ভিতর যে তার স্বপ্নের গ্রীন কার্ড ও পাসপোর্ট রেখেছিলেন!

সোমবার রাত দুইটা এগারো মিনিটে ফেসবুকে পোস্ট করা এসআই নোমান মুন্সির স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়-

ইটালি ফেরৎ ছোট ভাই , ৪বছর পর গ্রীন কার্ড পেয়ে মাতৃতের টানে নিজ দেশে আসা, স্বভাবতই তার মনের মধ্যে অনেক আনন্দ উঁকিঝুঁকি মারছে! তাই ভুলক্রমে তার কাঁধের ব্যাগটি সিএনজি তে ফেলে যায়! ফেলে যাওয়া ব্যাগের জন্য তার টেনশনের শেষ নেই! কারন ঐব্যাগের ভিতর যে তার স্বপ্নের গ্রীন কার্ড ও পাসপোর্ট রেখেছিলেন! আমি সংগীয় কং/ করিম উল্লাহ, কং/ধীমান সহ অদ্য নৈশ্য স্পেশাল -৩৩ ডিউটি করাকালে আকস্মিক চেকপোস্ট শুরু করি! হঠাৎ একটি সিএনজি কে সিগন্যাল দিলে এটি দাঁড়ায়, চেক করাকালে গাড়ির সিটের পিছনে একটি ব্যাগ দেখতে পাই। যাএীকে ব্যাগ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে বলে এই ব্যাগ আমার না স্যার! তাই ব্যাগটি নিয়ে তাদের সামনে খুলে চেক করলাম, এর মধ্যে ইটালি ফেরৎ ভাইয়ের কিছু কাপড় ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস দেখতে পেলাম,এবং একটি ছোট নোটবুক পাইলাম! নোটবুকে একটা মোবাইল নাম্বার লেখাছিল সেই নাম্বারে তাৎক্ষনিক কল দিলাম একজন কল রিসিভ করলে, পাসপোর্ট নাম লিখা মানুষটা কে চিনেন কিনা বললাম! উনি বললেন উনা একজন ডাক্তার এবং ঐলোকটি উনার ভাগিনা! তাৎক্ষনিক উনাদের জিইসি পুলিশ বক্সের সামনে আসতে বললাম! অতঃপর তাদের হাতে হারানো জিনিস ফিরিয়ে দিতে পেরে তাদের চোখমুখের দিকে তাকাইয়া নিজেদের মধ্যে সুখ অনুভব করিলাম! আসলে এই পোস্ট টা দেওয়ার উদ্দেশ্য হইল আমরা যে, যেখানে, যেইভাবেই থাকি না কেন?বেখেয়ালিপনা না হয়ে সতর্ক অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করিব! সবাই ভাল থাকবেন, সিএমপি,চট্টগ্রাম!

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *