রফিকুল আমিনের ৩ বছরের কারাদণ্ড

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার টাকার হিসাব বিবরণী না দেয়ায় দুদকের করা মামলায় ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মদ এ রায় দেন।

মানি লন্ডারিংয়ের দুই মামলায় ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কারাগারে আছেন রফিকুল আমিন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুল আমীন ও মোহাম্মদ হোসাইনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়। ওই বছরের ১১ অক্টোবর তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৬ সালের ১৬ জুন মামলা দুটির তদন্ত চলাকালে রফিকুল আমীনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক নোটিশ দেয়। তথ্যবিবরণী জমা দেয়ার জন্য সাত দিন সময় দেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে তথ্যবিবরণী জমা না দিয়ে কারাবন্দী রফিকুল আমীন সময় বাড়ানোর আবেদন করলে তাকে আরো সাতদিন সময় দেয় দুদক। এরপরও সম্পদের তথ্যবিবরণী জমা না দেয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক।

২০১৭ সালের ৬ জুন রফিকুল আমীনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। পরের বছরের ১২ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *