করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯০,আক্রান্ত ২৪ হাজার

চীনে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৩২৪ জন।

যে হুবেই প্রদেশ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানেই মারা গেছে সবচেয়ে বেশি, ৪৭৯ জন। আক্রান্ত ১৬ হাজার ৬৭৮ জন।

মঙ্গলবার নতুন আক্রান্তদের সংখ্যা আগের তুলনায় একটু কম ছিল। ২৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে হাজার চারেক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদিন ৩ হাজার ৯৭১ জনের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ফিলিপাইন এবং হংকংয়ে। ফিলিপাইনে মৃত ওই ব্যক্তির বয়স ৪৪ এবং হংকংয়ের বাসিন্দা লোকটির বয়স ৩৯। সম্প্রতি তারা উভয়েই উহান থেকে ফিরেছেন। ফিলিপাইনে মৃত ওই ব্যক্তি ২৫ জানুয়ারি থেকে ম্যানিলার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

স্পেন, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘হু’র মহাপরিচালক অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো।
কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।

এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *