শিক্ষা পণ্য নয়, শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকার : সুজন

শিক্ষা পণ্য নয়, শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকার বলে মত প্রকাশ করেছেন জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর জামালখান মোড়ে এস এস সি পরীক্ষার্থীদের মাঝে শুভেচ্ছা কার্ড এবং চকলেট বিতরণকালে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুজন প্রথমেই চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করায় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

তিনি বলেন, একজন শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আজ বাংলাদেশের এ অর্জন সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় শিক্ষা খাতে আমুল পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে সুজন বলেন প্রাথমিকে ভর্তির হার প্রায় শতভাগ, ঝরে পড়া কমেছে অনেকাংশেই। কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে শিক্ষার্থীর হার ১৪ শতাংশ। প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় চার কোটি শিশু বছরের প্রথম দিনে বিনা মূল্যে বই পাচ্ছে। সাক্ষরতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৩ শতাংশ। শিক্ষা অবকাঠামোতেও বিপ্লব সাধিত হয়েছে। বিনা মূল্যের বই, উপবৃত্তি, স্কুল ফিডিংসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের সুফল মিলছে এখন।

বিশেষ করে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাওয়ায় শিক্ষার প্রতি সবার আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে বেড়েছে মেয়েদের আগ্রহ। এ কারণে কমেছে বাল্যবিয়ে। কমছে ঝরে পড়াও। শিক্ষা খাতে এত উন্নতির কারণেই সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে অনেক বড়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের কোটি কোটি টাকা অলস পড়ে রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা এবং বিত্ত বৈভবের ঠিকানা হয়ে গিয়েছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এসব প্রতিষ্ঠানও চাইলে এ ধরনের মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এর ফলে ঐ সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে নিরাপদে স্কুলে যাওয়া আসা করতে পারবে। এতে করে সড়কের উপর গাড়ীর চাপ কমবে এবং যানজটও হ্রাস পাবে। অন্যদিকে অভিবাবকদের মনেও প্রশান্তি নেমে আসবে।

তিনি আরো বলেন, একেখান মোড় থেকে জিইসি মোড় পর্যন্ত সড়কটির আশে পাশে বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফলত ঐ এলাকায় সারাদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক যানজট লেগেই থাকে তাই ঐ এলাকাটিকে একাডেমিক জোন ঘোষণা করে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার দাবী জানান সুজন।

তিনি শিক্ষার্থীদেরকে বাসের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষন করার অনুরোধ জানান। যাত্রাপথে সাবধানে পথ চলাচল করার আহ্বান জানান।

শিক্ষার্থীদেরকে শুভেচ্ছা কার্ড ও চকলেট বিতরণকালে বিভিন্ন শিক্ষার্থী এবং অভিবাবক অভিযোগ করেন যে এখনো বিভিন্ন স্কুলে ভর্তি পুণঃভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলে মাসিক বেতনও আদায় হয় উচ্চহারে। এসব বিষয়ও প্রশাসনের নজরে আনার জন্য সুজনকে অনুরোধ করেন অভিবাবকবৃন্দ।

সুজন এসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ জানান। এর পর জনাব সুজন উপস্থিত শত শত শিক্ষার্থীদের মাঝে শুভেচ্ছা কার্ড এবং চকলেট বিতরণ করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ হাজী মোঃ ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, নাগরিক উদ্যোগের সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, নগর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আজিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, অনির্বাণ দাশ বাবু, সোলেমান সুমন, রকিবুল আলম সাজ্জী, আশিকুননবী চৌধুরী, লোকমান হোসেন, মহানগর নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি মির্জা, আরাফাত রুবেল, হাসান হাবিব সেতু, মোঃ কাইয়ুম, মনিরুল হক মুন্না, ফরহাদ সায়েম, সৈয়দ ইবনে জামান ডায়মন্ড, আব্দুল্লাহ আল নোমান সাইফ, মোহাম্মদ আবিদ, রিয়েল দত্ত, মাহমুদ মুন্না, মোহাম্মদ আলী মিঠু, আব্দুল মালেক, অভি শীল, আরমান সাজিদ, ওমর ফারুক, আশীষ সরকার, প্রান্ত দে, আবরার কবির ফাহিম, হেলাল উদ্দিন ইমন, মোঃ আরাফাত, মোঃ আলমগীর, মোঃ আলভী প্রমূখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *