করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০৩,আক্রান্ত ৩৭০০০

সরকারি খবর অনুসারে, রবিবার পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০৩-এ। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার।

নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এক মাস আগে এক ডাক্তার এই মরণ ভাইরাসের হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশকে সতর্ক করলেও শাসক দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি, এই অভিযোগে ক্ষোভ বাড়ছে চীনে।

শনিবার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭২২। সরকারি তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আরও ৩,৩৯৯ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪,৫৪৬ জন। রবিবার তা গিয়ে দাঁড়ায় ৮০৩-এ।

শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনাভাইরাসের কারণে কিছু দেশ চীনা পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা সৃষ্টিতে বাড়াবাড়ি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১৬টি শহরে কোয়ারেন্টাইন জারি হয়েছে) থেকে রাতারাতি বিশাল হাসপাতাল বানিয়ে ফেলা, করোনাভাইরাস সংক্রমিত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া— সব দিকেই কড়া নজর রয়েছে সরকারের। শহরের বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁরা পথচারীদের থামিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।

স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, বেজিংয়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। মোবাইল ফোন নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল এবং বিশ্বের বৃহত্তম কফি চেন স্টারবাকস, দু’জনেই বেজিংয়-সহ গোটা চিনে তাদের প্রায় সব দোকানই বন্ধ রেখেছে।

বেজিংয়ের প্রসিদ্ধ সানলিটুন এলাকার রেস্তরাঁ, পাব ও কফির দোকানে কিছু দুঃসাহসী ক্রেতা ছাড়া আর কারও দেখা পাওয়া ভার। সরকারি বাস এবং মেট্রো চলছে, চীনের উবার ‘দিদি’ও সক্রিয়।

তবে শহরে ঢোকা-বেরোনোর উপরে নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। চীনা নববর্ষের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও অসংখ্য প্রবাসী চীনে ফিরে যেতে পারছেন না।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *