২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আসন্ন ডিন নির্বাচন এ অংশ নিয়েছে মোট তিনটি দলের ২১ জন প্রার্থী। এর আগে ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সাতজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।
চূড়ান্ত তালিকানুযায়ী, আওয়ামী লীগ-বামপন্থী শিক্ষক সমর্থিত হলুদ দলের ছয়জন, বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দলের তিনজন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের পাঁচজন এবং হলুদ দলের সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে হলুদ দলের ইতিহাসে এবারই প্রথম এতো বিদ্রোহী প্রার্থী।
ডিন নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং অফিসার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বলেন, ডিন নির্বাচনে আট অনুষদে ২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে মঙ্গলবার সাতজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হলুদ দলের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে সাত অনুষদে চূড়ান্ত প্রার্থী সংখ্যা মোট ২১ জন।
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট দেয়া যাবে।
এদিকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে হলুদ দলের বিদ্রোহী দুই প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় হলুদ দল থেকে মনোনীত অধ্যাপক ড. আহমদ সালাউদ্দিন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
অনুষদ ভিত্তিক প্রার্থীদের নাম : কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে হলুদ দল থেকে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু নছর মুহাম্মদ আব্দুল মাবুদ।
বিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বেনু কুমার দে, সাদা দল থেকে একই বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. শামছু উদ্দিন আহমদ, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমীন। এছাড়া হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ডিন বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান।
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে সাদা দল থেকে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শওকতুল মেহের, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এসএম নসরুল কদির মনোনয়ন পেয়েছেন। হলুদ দলের দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এসএম সালামত উল্ল্যা ভূঁইয়া এবং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন।
সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সফিকুল ইসলাম ও হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আইন অনুষদে হলুদ দল থেকে আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহা মনোনয়ন পেয়েছেন। হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান। তবে এ অনুষদে সাদা দল এবং জাতীয়তাবাদী ফোরামের কোনো প্রার্থী নেই।
জীববিজ্ঞান অনুষদে হলুদ দল থেকে ফার্মেসে বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, সাদা দল থেকে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক ড. অলক পাল।
ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে হলুদ দল থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা। এ অনুষদে সাদা দল ও জাতীয়তাবাদী ফোরামের প্রার্থী নেই।
মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদে হলুদ দল থেকে ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ-উন-নবী এবং জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. এম. মারুফ হোসেন মনোনয়ন পেয়েছেন। এ অনুষদে সাদা দলের প্রার্থী নেই।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন যারা : হলুদ দল থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ সালাউদ্দিন, সাদা দল থেকে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান, জাতীয়তাবাদী ফোরাম থেকে মো. সফিকুল ইসলাম ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান, স্বতন্ত্র প্রার্থী রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ও হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রাহমান নাসির উদ্দিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
Leave a Reply