পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পর পরাজয় এড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের নাজুক অবস্থা। পরাজয় তো বটেই, টাইগারদের লড়তে হচ্ছে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর জন্য।
জোড়া অর্ধ-শতক ও জোড়া শতকের পর বাংলাদেশের জন্য লড়াইটাকে কঠিন করে তোলেন নাসিম শাহ। তরুণ এই পেসার সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাজঘরে ফিরিয়ে।
তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ৮৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ৪৫ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ১২৬ রান। মুমিনুল ৩৭ ও লিটন শূন্য রানে ক্রিজে রয়েছেন।
শুরুতে তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান ভালো শুরুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন। তবে সাইফ ১৬ ও তামিম ৩৪ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে নাসিম হ্যাটট্রিক করে বসলে। শান্ত ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরার সময়ও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়ানো সহজ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু নাসিমের শিকার হয়ে তাইজুল ও রিয়াদ এবং এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ইয়াসির শাহর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।
তাইজুল, রিয়াদ ও মিঠুন তিনজনের কেউই স্কোরবোর্ডে কোনো রান জড়ো করতে পারেননি। বাংলাদেশ যতটুকু আশাই ধারণ করছে, তার বাহক অধিনায়ক মুমিনুল। পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে হলে লিটন দাসকে নিয়ে মূল লড়াই চালিয়ে যেতে হবে তাকেই।
তার আগে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে জড়ো করে ৪৪৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাইজুল পান দুটি উইকেট। বাংলাদেশের সুযোগ হাতছাড়ার সুবিধা আদায় করে পাকিস্তানের হয়ে শতক হাঁকান বাবর আজম (১৪৩) ও শান মাসুদ (১০০)। এছাড়া হাসির সোহাইল ৭৫ ও আসাদ শফিক ৬৫ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস- ২৩৩
মিঠুন ৬৩, শান্ত ৪৪, লিটন ৩৩
শাহীন ৫৩/৪, হারিস ১১/২
পাকিস্তান ১ম ইনিংস- ৪৪৫
বাবর ১৪৩, শান ১০০, হারিস ৭৫
রাহী ৮৬/৩, রুবেল ১১৩/৩
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস- ১২৬/৬
শান্ত ৩৮, মুমিনুল ৩৭*, তামিম ৩৪
নাসিম ২৬/৪, ইয়াসির ৩৩/২
ইনিংস ব্যবধান এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮৬ রান।
Leave a Reply