২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। মেহেদী, চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিভিন্ন হল ও অনুষদে মুক্তি বক্সে একদম বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে স্যানিটারি ন্যাপকিন। একটি বক্সে স্যানিটারি ন্যাপকিন পূর্ণ করে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মুক্তি বক্স’।
মুক্তি বক্স টিম জানায়, ‘অনেকেই ভাবছেন ইউনিভার্সিটি লেভেলে কেনো প্যাড দিতে হবে? ফ্রি প্যাড নয় আমাদের উদ্দেশ্য একটা প্র্যাক্টিস সেট করা। একেকটি অনুষদে হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে অধ্যয়নরত। মুক্তি বক্স দেখে অন্যরা তাদের গ্রামে গঞ্জে এর ব্যবহার ও অভ্যাস নিজেরা ছড়িয়ে দিক।
মুক্তি বক্সের শুরু করেছেন আমেরিকা প্রবাসী ফখরুদ্দীন রিজভী। আইডিয়াটি আসে আরো দুই বছর আগে। প্রবাস জীবনের ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হচ্ছিল না। এ বছরের জানুয়ারি ১ মাসের ছুটিতে দেশে আসেন। তখনই মুক্তি বক্সের আইডিয়া নিয়ে আবারো কাজ করার আগ্রহ দেখালে বন্ধুরা তার সঙ্গে যোগ দেন।
ছোটো ভাই আরিফ মঈনুদ্দিনের সঙ্গে বন্ধুদের নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেন ‘মুক্তি বক্স’। এক্ষেত্রে বেছে নেন প্রত্যন্ত এলাকার এবং সুবিধাবঞ্চিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে।
রিজভী জানান, ইচ্ছে আছে নিজে ১০০টি স্কুলে ‘মুক্তি বক্স’ বসাবো। নিজের খরচে এই ১০০টা স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন রিফিল করবো। আমাদের কাজকে ভালোবেসে এরইমধ্যেই অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। তারা নিজেদের এলাকায় ‘মুক্তি বক্স’ বাসাচ্ছেন। আজীবন ফ্রি রিফিল করার দ্বায়িত্ব নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মেয়েদের পিরিয়ড নিয়ে যে ট্যাবু আছে সেটাকে ভাঙার লক্ষে মুক্তি বক্সের পথচলা। পিরিয়ড যে দৈনন্দিন জীবনের অন্য দশটা ইস্যুর মতো নরমাল একটা ইস্যু সেটা পরিষ্কার করা।
মুক্তি বক্স একটা ক্লিয়ার সি-থ্রু বক্স, তার মানে দূর থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায় বক্সের ভেতরে কি আছে। একটা ওয়াশরুমে ঢুকেই হ্যান্ড সেনিটাইজার অথবা সাবান দেখে যেমন আমরা চমকে যাই না তেমন প্যাড দেখেও যাতে আমরা চমকে না যায় সেই কারণেই স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে মুক্তি বক্স স্থাপন।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ইসরাত জাহান ইরা বলেন, এটি সত্যিই একটা ভালো উদ্যোগ। প্রয়োজনের সময় অনেক ক্ষেত্রে প্যাড পাওয়া যায় না। ক্লাসে এসেও আমরা মুক্তি বক্স থেকে খুব সহজেই প্যাড সংগ্রহ করতে পারবো।
Leave a Reply