দূর্গাপূজা বাঙালীর ঐতিহ্য,একে অটুট রাখতে সব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে : ফয়সাল

.jpg

ফটিকছড়ির ঐতিহ্যবাহী হাইদচকিয়া সূর্যগিরি আশ্রম সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ, মরণোত্তর সম্মাননা ও আলোচনা সভা ৬ অক্টোবর মহাঅষ্টমী তিথিতে সংগঠনের সভাপতি পণ্ডিত তরুণ কুমার আচার্য কৃষ্ণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন ডাঃ বরুণ কুমার আচার্য বলাইয়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভারত-মৈত্রী সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র কেন্দ্রীয় পরিষদের সভাপতি ড. ফয়সাল কামাল চৌধুরী।

মহান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ির পৌর মেয়র আলহাজ ইসমাইল হোসেন।

বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তনেশ্বরী শ্মশান কালী মন্দিরের সভাপতি পণ্ডিত অরূপ আচার্য।

সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ ফটিকছড়ি শাখার সভাপতি মাস্টার রতন কান্তি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কাজল কান্তি শীল।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগীশিক ফটিকছড়ি সংসদের সভাপতি ডা. সুব্রত চৌধুরী, ৬নং পাইন্দং ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান গৌতম সেবক বড়–য়া, ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ রহিম মোহাব্বত, সাধারণ সম্পাদক নজরুল মুন্সি, ডা. বি কে নাথ, মাসিক ফটিকছড়ি সংবাদের সম্পাদক আহমদ আলী চৌধুরী, ফটিকছড়ি পূজা উদ্যাপন পরিষদের সহ-সভাপতি মিলন দাশ, ছাত্র-যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবক লায়ন জানে আলম, সুজন আচার্য রনি।

প্রধান অতিথি বলেন, দূর্গাপুজা হল সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব। আর পূজার মর্মবাণী হল অসাম্প্রদায়িক চেতনায় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে মাতা নথ না করা। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল, একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলতে রাষ্ট্রের আচরণ নাগরিকের প্রতি ধর্মের ভিত্তিতে হবে না।

বক্তারা আরো বলেন, এ বাংলাদেশে সব সম্প্রদায়ের মানুষ সৌভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্দপূর্ণ পরিবেশে আবহকাল থেকে বসবাস করে আসছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এদেশে বিরাজমান সম্প্রীতি আবহমান বাংলায় গৌরবময় ঐতিহ্য। বাঙালীর এই ঐতিহ্য অটুট রাখতে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. সুশীল আচার্য, সোনারাম আচার্য, নীলু দাশ, সুজন শীল, বিজন শীল, পায়েল শীল, বন্ধন আচার্য, হিমেল আচার্য, রবিন আচার্য, সজীব আচার্য, লালন আচার্য, মোহনা আচার্য, দুর্জয় আচার্য, রুদ্র আচার্য, সুজয় আচার্য, নয়ন দাশ, ঝন্টু শীল, সমীর পাল, কৃষ্ণাকলি আচার্য, বাগীশিক পাইন্দং সংসদের সভাপতি দেবাশীষ দে, উজ্জ্বল দাশ, লিটন মহাজন।

এ সময় এলাকার গরিব দুস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হয় এবং দুস্থ শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ করা হয়। চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ বিতরণ এবং মহা অষ্টমী উপলক্ষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *