২৪ ঘন্টা ডট নিউজ : আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মায়াপুরে তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সব থেকে বড় মন্দির ‘বেদিক প্লানেটারিয়াম’। এক লক্ষ স্কোয়্যার ফুট জুড়ে তৈরি হচ্ছে সেই মন্দির।
ওই মন্দির শুধুমাত্র বিশ্বের সবথেকে বড় নয়, এটি হয়ে উঠবে যেন আধুনিককালের এক প্রাসাদ। এই মন্দিরে একসঙ্গে ১০ হাজার ভক্ত উপাসনা করতে পারবে। আধুনিকতম প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রার্থনার লাইভ সম্প্রচার হবে পুরো বিশ্ব জুড়ে।
জানা যায়, বিশাল বড় বড় ঝাড়বাতি দিয়ে সাজানো হবে এই মন্দির। প্রায় বছর দশেক আগে এই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ২০২২-এর মধ্যে মন্দির তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত দু’কোটি কিলোগ্রাম সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে এই মন্দির তৈরির কাজে। ফেব্রুয়ারিতেই সাধারণের জন্য খুলে যাবে মন্দির। চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ।
প্রত্যেকটি ফ্লোরের আকার হবে এক লক্ষ স্কোয়্যার ফুট। আর এই মন্দিরের গম্বুজ হবে বিশ্বের সব থেকে বড় আর একেবারে আলাদা। ৩৮০ ফুট উঁচু সেই মন্দিরে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ নীল রঙের বলিভিয়ান মার্বেল। এতে রয়েছে পাশ্চাত্য স্থাপত্যের প্রভাব।
মন্দির কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সদাভূজ দাস বলেন, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মিশ্রণে এই মন্দির তৈরি হচ্ছে। বেদের সংস্কৃতি গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই মন্দির তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভিয়েতনাম থেকে মার্বেল আনা হয়েছে। কিছু মার্বেল ভারতেও তৈরি হয়েছে।’ ২০ মিটার লম্বা ঝাড়বাতি বানানো হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষের আর এক সদস্য সুব্রত দাস বলেন, গোটা বিশ্বের মানুষকে মায়াপুরে নিয়ে আসার জন্যই এমন মন্দির। এখানে এক সঙ্গে ১০ হাজার ভক্ত উপাসনা করতে পারবেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য খোলা থাকবে মন্দিরের দরজা।
এমনিতেই ইস্কনের হেডকোয়ার্টার মায়াপুরে। তাই মায়াপুর জুড়ে রয়েছে কৃষ্ণ বন্দনার বহু স্থান। বিভিন্ন জায়গায় শোনা যায় শ্রীকৃষ্ণের ভজন। প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ মায়াপুরে আসেন। সম্প্রতি মায়াপুরকে ‘হেরিটেজ’ শহর ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার সেই মায়াপুরেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের সব থেকে এ বড় মন্দিরটি। খুব শীঘ্রই যে এই মন্দির মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠবে তা বোঝাই যাচ্ছে। সূত্র : kolkata24x7
Leave a Reply