প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশের গৌরবের ইতিহাস সব প্রজন্মকে জানতে হবে।অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘একুশে পদক-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, অন্য ভাষা শেখার প্রয়োজন আছে, তবে মাতৃভাষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন। কিন্তু বার বার তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। দেশের ইতিহাস বারবার বিকৃত করেও সত্য ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই সম্মাননা ও পদক বিতরণ করেন তিনি।
এর আগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক-২০২০’ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একুশে পদক ২০২০ প্রাপ্তরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে প্রয়াত আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক, শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান, শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন, শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে প্রয়াত হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), প্রয়াত আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), প্রয়াত ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, প্রয়াত সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। পাশাপাশি ‘গবেষণা’য় একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসালাম। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Leave a Reply