বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে দেশপ্রেম চেতনার ভিত্তি রচিত হয়েছিল-ভিসি গোলাম মহিউদ্দীন

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে আমাদের দেশপ্রেম চেতনার ভিত্তি রচিত হয়েছিল। এই দেশপ্রেম চেতনা অটুট থাকলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। এই দেশ আমাদের আর এই দেশকেই আমাদের সকলকে অকৃত্রিম ভালভাসতে হবে।

শুক্রবার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর দিনব্যাপী অমর একুশে কর্মসূচী ২০২০ এর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দা’ওয়াহ ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেছেন, বাংলা ভাষার ইতিহাস রক্তিম ইতিহাস, এই ইতিহাসকে কেন্দ্র করে বাংলা ভাষা দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে গেছে। ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে লাল সবুজের দেশ হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে।

আইআইইউসি’র প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদীর সভাপতিত্বে অনুিষ্ঠত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন আইআইইউসি’র কলা ও মানবিক অনুষদের ডীন ড. মোহাম্মদ রিয়াজ মাহমুদ, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ মাশরুরুল মওলা এবং স্বাগতঃ বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র রেজিস্ট্রার কর্নেল মোহাম্মদ কাসেম, পিএসসি (অব:)।

অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে আইআইইউসি’র ট্রেজারার, ডীনগণ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, এডিশনাল এস পি (নর্থ), চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম গোলাম মহিউদ্দীন বলেন, ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম ’তমুদ্দুন মজলিস’ এর মাধ্যমে প্রথম বাংলা ভাষার আন্দোলনের সূচনা করেন। বঙ্গবন্ধু সহ আরো অনেকেই বাংলা ভাষার জন্য সংগ্রাম করে কারাবন্দী হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির মর্যাদা রক্ষায় আবেগের চেয়ে আন্তরিকতা বেশি প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা স্মৃতিচারণ করে বলেন, মনিষী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী চট্টগ্রামে একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা করেন যার স্থান ছিল আনোয়ারায় কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। পরবতির্তে চট্টগ্রামসহ
বাংলাদেশের প্রথিতযশা লোকদের নিয়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। তখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তহবিল এনে এই আধুনিক অডিটরিয়াম, কেন্দ্রিয় মসজিদ ও কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি সহ আরো অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল কুমিরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একুশের প্রথম প্রহরে নিজস্ব শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে শোভাযাত্রা, সকাল দশটায় আলোচনা সভা এবং দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠান।

শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডিপি’র কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ড.বি.এম. মফিজুর রহমান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *