একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে আজ সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা। অলআউট করেছে ২৬৫ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে ২৪০ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে দলীয় অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান।
আজ (রোববার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে চাকাভা ৭ এবং টিরিপানো ০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। আগের দিনের সাথে ১৪ রান যোগ করার পর ৮ রানে থাকা টিপানোকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ৪ রান বাদে অ্যাইন্সলে লোভুকে একই পথের সারথী বানান ডানহাতি এ পেসার।
শেষদিকে চাকাভা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে চার্ল্টন শুভার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩০ রানে থাকা চাকাভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের রাশ টেনে ধরেন স্পিনার তাইজুল। ফলে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা।
পরে সাইফ হাসানকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা সাইফ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন ৮ রান করে। এরপর শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রান জড়ো করেন দুজন।
তামিম ৪১ রানে আউট হয়ে গেলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সাথে ৭৬ রানের পার্টনারশিপের পর শান্ত আউট হন ৭১ রান করে। এরপর মু্শফিকুর রহিমকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মুমিনুল।
অর্ধশতক হাঁকানো দলীয় অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ৭৯ রান নিয়ে। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে দিন শেষ করা বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। আগামীকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন ৭ উইকেট হাতে রেখে জিম্বাবুয়ে থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভার)
আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।
বাংলাদেশ: ২৪০/৩ (৭১ ওভার)
মুমিনুল ৭৯, শান্ত ৭১, তামিম ৪১; নিয়াউচি ১/৪১, টিরিপানো ১/৪০।
Leave a Reply