বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণা

বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেমোক্রেটিক পিপল’স রিপাবলিক অব কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পাক সং ইউপ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো মেধাবী নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। দেশ ও জাতি গঠনে তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১১টায় তিনি ইডিইউতে এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান।

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিশ্বের নিপীড়িত ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য অনুপ্রেরণা। উত্তর কোরিয়ার সংগ্রামী মানুষদের উজ্জীবিত করে এ ইতিহাস। এসময় বাংলার সাধারণ মানুষের সারল্য ও আন্তরিকতায় তার মুগ্ধতার কথাও জানান তিনি।

ইডিইউর ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি জানান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস বিশ্বমানের ও নান্দনিক। পাহাড়ের বুকে গড়ে তোলা অনুসরণীয় এই স্থাপত্যশৈলী প্রকৃতির সৌন্দর্যকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা রাখছে। দেশের জনশক্তিকে দক্ষ ও আধুনিক করে তুলতে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির। এসময় ইডিইউর বিশেষ বিশেষ প্রোগ্রাম ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন তিনি।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইডিইউর সুনির্দিষ্ট গ্র্যাজুয়েট এট্রিবিউটগুলো এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই গড়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স কোর্সের মাধ্যমে বিশ্বের উন্নত শহরগুলোয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, স্কুল অব বিজনেসের ডিন অ্যাসোসিয়েট ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী, সহকারী রেজিস্ট্রার হাসানুল বান্না প্রমুখ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *