কটেজ জোনের কিং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল তরুণীসহ আটক

কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেলকে তরুণীসহ আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সরঞ্জাম।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে পর্যটন এলাকার বাতিলকৃত ফ্লটে তার নির্মাণাধীন বাসা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় সদর থানা পুলিশ।

পুলিশি অভিযানের সময় আরো ১০-১২ জন তরুণী পালিয়ে যায়। কাজী রাসেল কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য। সাগরপারের আণবিক শক্তি কমিশন অফিসসংলগ্ন এলাকায় ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাসায় আয়োজিত ইয়াবা সেবনের জলসায় সোমবার ভোরে এ অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানী ঢাকায় আটক যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়ার মতোই নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী রাসেল।

পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, কক্সবাজার সাগরপারে রোহিঙ্গাসহ দুই শতাধিক তরুণীকে আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেন এই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তাঁর দাপটে সাগরপারের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও অতিষ্ঠ ছিলেন। কাজী রাসেলের এমন অবৈধ কারবারের সঙ্গী কয়েক শ দালাল। এসব দালাল হোটেলে ইয়াবা ও নারী সরবরাহ করত বলে অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, সাগরপারের হোটেল-মোটেল জোনে জমির প্লট ও ফ্ল্যাট দখল করে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা ও ইয়াবার কারবার চলে আসছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পর্যটন এলাকার কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনে দীর্ঘ দিন ধরে দলীয় পরিচয়ে কাজী রাসেল নানা আপত্তিকর কর্মকান্ড করে আসছিল। প্রায় সময় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া যেত।

সম্প্রতি সময়ে মোরশেদ নামের এক যুবককে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে রাসেল। ওই ঘটনায় মডেল থানায় তাকে এক নাম্বার আসামী করে মামলাও হয়। তারেই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে মিম নামের এক স্থানীয় কন্ঠশিল্পীসহ তাকে আটক করা হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির বলেন, কাজী রাসেলের নামে মানবপাচারের অভিযোগে থানায় মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে আটকের পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সব কিছু আমলে নিয়ে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়সারুল হক জুয়েল বলেন, কোন অপরাধী দলের হতে পারেনা। অপরাধ করলেই শাস্তি পেতে হবে। যদি মহিলাসহ কাজী রাসেল আটক হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে কাজী রাসেলের ভাই কাউন্সিলর কাজী মোর্শেদ আহমেদ বাবু জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে আটক করানো হয়েছে। কারণ তার চলাফেরা পরিবারের বিরোধী হওয়ার কারনেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *