ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া উপজেলায় অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন রোগি ও স্বজনরা। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
ওষুধের প্যাকেটের গায়ে এমআরপি অর্থাৎ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য শব্দটিকে সরকার নির্ধারিত মূল্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে অধিক মুনাফা লাভ করার ফাঁদ পেতেছেন ব্যবসায়ীরা।
এমআরপি শব্দটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করায় প্রতি নিয়ত ঠকছেন ওষুধ ক্রেতারা। রুহিয়ার ঔষধ ক্রেতা জাহাঙ্গীর, মধুপুর এর আনোয়ার, শিমুলতলির আহম্মদ আলী, কুজিশহর এর হাজেরা বেগম সহ একাধিক মানুষ বলেন আমরা পূর্বে প্রতিদিন ওষুধ নিতাম যেখানে M.R.P হইতে ১০%-১৫% পর্যন্ত ছাড় পেতাম।
সেখানে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত M.R.P শব্দটিকে ব্যবহার করে কোন রকম মূল্য ছাড় না দিয়েই অধিক মূনাফা লাভে ব্যস্ত ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
এছাড়াও কেমিস্ট ছাড়া যে কোন ধরনের ওষুধ বিক্রয় করা যাব না এরকম সরকারি বিধান থাকলেও তা মানছেন না ফার্মেসী মালিকরা। বাংলাদশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি রুহিয়া শাখার সভাপতি তাহের মেডিকেল ষ্টোর এর স্বত্তাধিকারী মো: আবু তাহের বলেন, “আমরা বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি ঠাকুরগাঁও জেলার নির্দেশনা মোতাবেক এমআরপি বাস্তবায়ন করেছি।”
ঠাকুরগাঁও জেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক প্রসিকিউটিং অফিসার আখতার ফারুক এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলন, ওষুধ ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়া ক্রেতাদের অধিকার ক্ষুন হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহাদয়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে একাধিকবার কল দিলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
Leave a Reply