মেহেদীর শাস্তি কমানোর দাবি কুবি শিক্ষার্থীদের

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার দুপুরে মূল ফটকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে ২১ শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরের আগে ‘কবর’ নাটক মঞ্চস্থ করতে স্টেজে উঠে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার। কিন্তু সাড়ে ১১ টার দিকে সময় স্বল্পতার কথা বলে নাটকটি মাঝপথে থামিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শুরু হয় আলোচনা সভা। নাটক থামিয়ে আলোচনা সভা করায় অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানায় থিয়েটারকর্মীরা। এরই প্রেক্ষিতে থিয়েটারের প্রাক্তন সভাপতি ও আইসিটি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জড়িয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

ফেসবুকে দেওয়া এই স্ট্যাটাসে ক্ষুব্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই স্ট্যাটাসের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর আবেদন করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২৯ ও ৩১ নং ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি মেহেদীর সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এরই প্রেক্ষিতে শাস্তি মওকুফের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী অর্ক গোস্বামী বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুলের উর্ধ্বে নয়। মেহেদী ভাই ভুল করেছে তার জন্য সে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্তান ভেবে ক্ষমা করে দিবেন।’

৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবেদ বলেন, ‘মেহেদী যা করেছে আমরা ও মনে করি তা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। কিন্তু অতীতে আমরা দেখেছি মেহেদী সবসময় চেয়েছে দেশের মানুষের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলে ধরতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করেতে। সে তার ভুলের জন্য অনুতপ্ত। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ তার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা যেন প্রশাসন তুলে নেয় এবং তাকে মানবিক দৃষ্টিতে ক্ষমা করে দেয়।’

মানবন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেহেদীর পক্ষে ক্ষমা চেয়ে বিভিন্ন পোস্টার নিয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও গত দুদিনে মেহেদীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী গণস্বাক্ষর করেন বলে জানা যায়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *