চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব, নির্বাচন কমিশনকে এ অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ইভিএমের ভোটের পদ্ধতিতে ব্যালট প্যানেল এবং অপারেটিং প্যানেলের সুরক্ষা দিতে হবে। সেখানে যাতে কোন ধরনের দলীয় সন্ত্রাসীরা বসে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে না পারে। সেইজন্য প্রতিটা ভোট কেন্দ্র একজন সেনাবাহিনীর এপ্রোণ অফিসার নিয়োগ দিলে পুলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাহলেই জনগণ ভোট কেন্দ্রমূখী হবে।
জনগণকে ভোট কেন্দ্রমূখি করতে হলে পেশাজীবি, সুশিল সমাজসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ইসি ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতার জন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
আওয়ামীলীগের জন্য এক আইন, বিএনপির জন্য এক আইন এটা চলতে পারে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে এনআইডি কার্ড দেখে দেখে ভোটারদের ঢুকাতে হবে। যাতে ব্যালট প্যানেলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বসে জোর করে ভোট দিতে না পারে। পুুলিং এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে না পারে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকেদের উদ্দেশ্যে এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ২৯ মার্চ ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে। ২৬ মার্চ থেকে ৪ দিন সরকারীভাবে বন্ধের দিন। টানা ৪ দিন বন্ধের ছুটি পেয়ে ভোটারেরা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়ীতে চলে যেতে পারে। তাহলে ভোটের দিন ভোটার উপস্থিতি কম হবে। তাই আমি বলতে চাই, ২৯ মার্চের বদলে ২ দিন পিছিয়ে ৩১ মার্চ ভোটের তারিখ নির্ধারণ করলে সাধারণ ভোটারেরা ভোট দিতে পারবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় পলিথিনমূক্ত পরিবেশ বান্ধব পোষ্টার লাগানোর ইসির সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে ভোটারদের কেন্দ্রমূখি করতে সাদা কালো পোষ্টারের সাথে কিছু রঙিন পোস্টার লাগানোর অনুমতি দেয়ার জন্য ইসির প্রতি আহবান জানাই।
তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামকে সুন্দর, নান্দনিক, স্মার্ট, গ্রীণ, হেলদি সিটি এবং পর্যটন নগরী করার জন্য দীর্ঘদিনের আশা নিয়ে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ চট্টগ্রামবাসী আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবে।
মনোনয়ন পত্র জমাদানকালে ডা. শাহাদাত হোসেনের সাথে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এস এম বদরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, জয়নাল আবেদীন জিয়া, ইকবাল চৌধুরী, জাহিদুল করিম কচি, সি: যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল, ইসকান্দর মীর্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply