সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে শামীমা আকতার শারমিন (৩২) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা এলাকা থেকে পুলিশ গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো.সোজায়েত হোসেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। লাশের গলায় তিনটি আঘাতের চিহৃ রয়েছে।’
পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মো.সোহেল (৩৮), দেবর মো.রুবেল (২৮) ও শশুর ছালে আহাম্মদ মিয়া (৬৭) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
জানা যায়, উপজেলার সোনাইছড়ি ঘোড়ামরা এলাকার মাদকাশক্ত সি.এন.জি ড্রাইভার সোহেল বুধবার গভীর রাতে জুয়া খেলে ঘরে আসে। এরপর ঘরে থাকা স্ত্রী শারমিনের সাথে বৃহস্পতিবার কিস্তির টাকা কিভাবে শোধ করবে এটা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়। ভোরে সোহেলের স্ত্রী‘র খারাপ লাগছে বলে স্থানীয় ডাক্তার ঘরে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর দীর্ঘ সময় লাশটি ঘরে পড়ে থাকে।
দুপুরের পর বিষয়টি যে কোনভাবে পুলিশ অবগত হয়ে বিকালে লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। উদ্ধারকৃত লাশের গলায় তিনটি আঘাতের চিহৃ রয়েছে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো.ফিরোজ হোসেন মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘আমারা গৃহবধূর লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্টের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি,গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে, আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী,শশুর ও দেবরকে থানায় নিয়ে আসছি, সুরতহাল রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
এব্যাপারে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডে একজন গৃহবধূর লাশ পুলিশ এসে নিয়ে গেছে। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা বুঝতে পারছিনা। পোষ্টমোটেমের রির্পোট আসলে কারণ জানা যাবে। তাদের সংসারে সবসময় ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো।
Leave a Reply