ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড: ৫ জন গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার আলোচিত গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  সেই সাথে গ্রেফতার করা আসামীদের জিজ্ঞাবাদে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোও।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাণীশংকৈল থানা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে সকালে হত্যকাণ্ডের ঘটনাস্থলের পার্শ্বের পুকুর থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।

আসামীরা হলেন-জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার গোগর গ্রামে আব্দুল হালিমের ছেলে রবিউল (২৩), একই গ্রামের মুসলিম উদ্দীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), খলিলুর রহমানের ছেলে সাগর আলী (১৯), মোস্তফা আলমের ছেলে জুয়েল রানা (১৬) ও মতিউর রহমানের ছেলে শাহ নেওয়া (১৯)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন হত্যাকাণ্ডের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং বাকি দুজন শিশু হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত শনিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) নিহত গরু ব্যবসায়ী পাশ্ববর্তী কাতিহার ও গোগর বাজারে গরু বিক্রয় করেন। তার কাছে গরু বিক্রির নগদ দেড় লাখ টাকা আছে এমন খবর পেয়ে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে আসামীরা। ওই দিন রাতে বাড়ীতে ফেরার সময় গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলীকে কৌশলে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে টাকা চাইলে টাকা না পেয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে আসামীরা। পরে ঘটনার আলামত নিশ্চিহ্ন করতে গরু ব্যবসায়ীকে গম ক্ষেতের মাটির নিতে পুতে রাখে এবং হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত অস্ত্র পাশের পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।

হত্যকাণ্ডের পর গরু ব্যবসায়ীর নিকট নগদ ৭ হাজার টাকা আসামীরা ভাগ বন্টন করে নেয় এবং তৈয়ব আলীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আসামী রবিউলের কাছে রেখে দেয় বলে জানায় পুলিশ।

 

‘গরু বিক্রির টাকা স্থানীয় এক দোকানদারের নিকট রেখেছিল নিহত গরু ব্যবসায়ী, সেই টাকা না পেয়েই তাকে হত্যা করে আসামীরা’।

এর আগে গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাজার থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ী ফেরার সময় নিখোঁজ হয় রাণীশংকৈল উপজেলার গরু ব্যবসায়ী তৈয়ব আলী। পরের দিন রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে একটি গমক্ষেতে রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দিলে গমক্ষেতের মাটি খুড়ে তৈয়ব আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় মামলা করেন।

পীরগঞ্জ ও রাীণশংকৈলের দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার তৌহি-উদ-দৌলা লুপম, রানীশংকৈল থানার ওসি তদন্ত খায়রুল আলম ডন মামলার তদন্ত শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা থেকে হতাকাণ্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাবাদ করে ঘটনার রহস্য বের করে পুলিশ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *