ভারতে বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দাওয়াত ফিরিয়ে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ নিয়ে আগামী ৬ মার্চ সব জেলায় বিক্ষোভ মিছিল করারও ঘোষণা দিয়েছে দলটি নেতারা।
বুধবার (০৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন। এতে অংশ নেয় কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগরে পৌঁছালে পুলিশের বাধায় পড়ে। এ সময়ে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিক্ষোভ মিছিল শেষ করেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে মোদির কুশপুতুল পোড়ানো হয়।
এর আগে বায়তুল মোকাররমে সমাবেশ করে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। এ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
বক্তৃতায় চরমোনাই পীর বলেন, বিতর্কিত ভারতের নাগরিকত্ব আইন সে দেশের সচেতন নাগরিকরা সমর্থন করেনি। সারা মুসলিম হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মোদিকে দেয়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দাওয়াত ফিরিয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমরা মুজিব বর্ষের বিরোধিতা করছি না। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি নরেদ্র মোদির বিরোধিতা করছি।’
এছাড়া সংগঠন থেকে দেয়া এক লিখিত বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি মুজিব বর্ষকে কলঙ্কিত করবে। স্বাধীনতা মাসে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। মোদির হাতে বারবার মুসলমানদের রক্তের দাগ লেগেছে। তার প্রশ্রয় দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী সম্প্রদায়িক উন্মাদনা মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পীর বলেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাবে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে। সিএএ ও এনআরসি এসবের মূল উদ্দেশ্য ভারতকে মুসলিম শূন্য করা।
Leave a Reply