তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স চূড়ান্তপর্বে ভর্তির সুযোগ দিন : সুজন

অনিশ্চিত শিক্ষাজীবন থেকে মুক্তি দিতে মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তপর্বে ভর্তির সুযোগ দানের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

বুধবার (৪ মার্চ) জামালখানস্থ প্রেসক্লাব ভবনে মাস্টার্স ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জনাব সুজনের সাথে স্বাক্ষাত করতে গেলে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। স্বাক্ষাতের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য সম্বলিত একটি কপিও সুজনের নিকট হস্তান্তর করেন।

এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, শিক্ষা সাংবিধানিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন শেষ করে একটি উন্নত জীবন গড়ার তাগিদে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সেভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

কিন্তু আমরা জানতে পারলাম যে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স চূড়ান্তপর্বে ভর্তির অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে না। এতে করে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এ যাবত পর্যন্ত মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বিভিন্ন বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চূড়ান্তপর্বে ভতি হতে পারতো।

হঠাৎ করে উক্ত নিয়ম চালু হওয়ার ফলে ঐসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন থেকে মূল্যবান একটি বছর ঝড়ে পড়বে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। বিশেষ করে ডিগ্রী পাশ করার পর থেকে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে প্রবেশ করে। পাশাপাশি উন্নততর জীবনের আশায় কষ্ট করে হলেও লেখাপড়া চালিয়ে গিয়ে নিজের মনে মাস্টার্স পাশ করার স্বপ্ন বুনতে থাকে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত তৃতীয় বিভাগ প্রাপ্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীর হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা আজ সময়ের দাবী।

সুজন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সামনে থেকে মোবাইল ফোনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশীদ এর সাথে কথা বলেন এবং উক্ত সিদ্ধান্তটি পুনঃবিবেচনা করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।

সুজন এ সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করার লক্ষ্যে শিক্ষা উপ-মন্ত্রীর সাথেও কথা বলার আশ্বাস দেন। নাগরিক উদ্যোগ জনহিতকর কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা সমাধানেও সবসময় পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিউলি আকতার, নিবেদিতা চৌধুরী, আলমগীর হোসেন, মেহেদী হাসান, মাইফুল জান্নাত, রুনা আকতার, মোঃ সাহেদ, মোঃ মাহবুব, নাগরিক উদ্যোগের উপদেষ্টা হাজী মোঃ ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মোঃ হোসেন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মোঃ নিজাম উদ্দিন, মোঃ সেলিম, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, অনির্বান দাশ বাবু প্রমূখ।

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *