সীতাকুণ্ডের হাট-বাজারে আগাম শীতকালীন সবজি,লাভবান প্রান্তিক কৃষক

krishok

দেশের সবজি উৎপাদনের অন্যতম উপজেলা সীতাকুণ্ডের হাট বাজারে বিভিন্ন অঞ্চলগুলো থেকে শীতকালীন আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। সবজির ভাল দামের আশায় উপজেলার কৃষক পরিবারগুলো এবছর মৌসুম ছাড়াই চাষ করেন তারা।

তবে গত বছর এমন সময়ে সবজি হাট বাজারগুলোতে তেমন সবজি দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড পৌরসদরের মোহন্তের হাটে সবজি কিনতে আসা মোঃ জমির আলী।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা থেকে বিভিন্ন গাড়ি করে প্রচুর পরিমান শীতকালীন আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। তবে আগাম নতুন সবজি হওয়ায় প্রতিটি সবজির দাম একটু বেশি হলেও নতুন সবজি হাতে পেয়ে খুশি ক্রেতা।

এছাড়া এ অঞ্চলে অন্যান্য দিন গুলোতে সবজির চাষ হলেও মৌসুমে শীতকালীন সময়ে সবজি চাষ ও উৎপাদন হয় সব চেয়ে বেশি। সবজির দ্বিগুণ উৎপাদন ও বাজারদর আশানুরূপ হওয়ায় লাভবান হয়েছে প্রান্তিক কৃষকরা।

শীতকালীন সবজি হিসেবে খ্যাত শিমসহ উপজেলার প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন শাকসবজি। শীতের আগাম উৎপাদিত সবজি এখনই হাটবাজারে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি বর্ষা ও শরতের সবজিও দেদার বিক্রি হচ্ছে। সীতাকুণ্ডে সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলেও সবজি চাষ দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবজির উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাইকাররা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার থেকে পাইকারি হিসাবে সবজি কিনে ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহনে নিজের এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

সীতাকুন্ড উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় কৃষি জমি রয়েছে প্রায় ৯ হাজার হেক্টর। এতে প্রতি বছর সবজি চাষ হয় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু বর্তমানে উপজেলায় সবজি চাষ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে।

গত বছরের তুলনায় এবার ১ হাজার হেক্টর শাকসবজির উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিমের আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। যেখানে গত বছর শিমের আবাদ হয়েছে ২ হাজার হেক্টরে। অন্য সবজির চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।

শাকসবজি চাষের জন্য সীতাকুণ্ড উপযুক্ত স্থান হওয়ায় এখানে শিম, বরবটি, লাউ, কুমড়া, লাল শাক, মুলা, কচু, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ হরেক জাতের শাকসবজির চাষ করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র নাথ বলেন, শীতের মৌসুম আসতে এখনও অনেক সময় রয়েছে। তবে চাষিদের উৎপাদিত শীতকালীন সবজি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এবার সীতাকুণ্ডে সবজি চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে উপজেলার প্রতি হাটে শাকসবজির সরবরাহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি বিভাগের ব্লক পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন সবজি উৎপাদনে পরামর্শ দিয়ে চলেছেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *