রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় ৩৫ জন বরযাত্রী নিয়ে পদ্মা নদীতে দুটি ইঞ্জিবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটা এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত একজনকে মৃত এবং ১৭ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃক মরিয়ম (৬) বসুয়া এলাকার রতনের মেয়ে।
এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৭ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানান, চরখিদিরপুর এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে বর কনে নিয়ে পবা উপজেলার ডাইংপাড়ায় যাচ্ছিল। দুটি নৌকায় ৩৫ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৬ জন শিশু। সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর এলাকায় দুই নৌকা ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনকে জীবিত পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এক শিশু মারা যায়। ঘটনার পর নৌকার মাছি খাদিমুল ইসলাম (২৩), আরোহী রতন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬) তীরে উঠে আসেন।
দমকল বাহিনীর ডুবুরি দল ও বিজিবি সদস্যরা স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুনের বিয়ে হয় বৃহস্পতিবার। শুক্রবার বরের বাড়ি থেকে বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। ফিরতি পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় কনেযাত্রীবাহী নৌকা। এতে নিখোঁজ রয়েছেন বর-কনেও।
Leave a Reply