বন্ধুরা সেলফিতে ব্যস্ত, পাশেই ডুবল কলেজছাত্র

বন্ধুরা মিলে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ী ঘুরে পদ্মাচরে যায়। বন্ধুরা পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে সবাই পানিতে খেলছিল, অনেকেই মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে পানিতে ডুবে যায় আহসান আবির। কিন্তু বন্ধুদের কেউ টের পায়নি।

কিছুক্ষণ পর যখন আবিরের সন্ধান মিলছে না, তখন বন্ধুদের মোবাইল ফোনে মিলল আবিরের ডুবে যাওয়ার দৃশ্য। কথাগুলো বলছিলেন যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পলাশ আহমেদ।

সোমবার বিকালে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে কুঠিবাড়ী সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ডুবে মারা যায় যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আহসান আবির। সে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সাবদালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক তবিবুর রহমান জানান, সোমবার সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ১৩১ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক শিক্ষাসফরে শিলাইদহ রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল একা একা কোথাও যাওয়া যাবে না। নদীতেও যাওয়া যাবে না।

কিন্তু কয়েকজন নিষেধ অমান্য করে পদ্মা নদীতে চলে যায়। শিলাইদহ খেয়াঘাট থেকে নৌকায় পদ্মা নদীর ওপারের চরে গিয়ে খেলাধুলা করে। বেলা দেড়টার দিকে ১৯ জন শিক্ষার্থী সেখানে গোসল করতে পানিতে নেমেছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবির পানিতে ডুবে যায়।

সহপাঠীরা আবিরকে খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়। পরে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাল টেনে খোঁজাখুঁজি করে।

কিন্তু শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। খুলনা থেকে উদ্ধারকারী ডুবুরি দলের সদস্যরা এলে তাদের সহযোগিতায় রাত ৯টার দিকে আবিরের লাশ পাওয়া যায়।

এদিকে মঙ্গলবার কলেজে একদিনের শোক ঘোষণা করা হয়। দুপুরে ক্যাম্পাসে আহসান আবিরের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *