আইআইইউসিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, ছাত্রলীগের অভিযোগ প্রমানিত হয়নি

আইআইইউসি খুলছে

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের কুমিরায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের যে অভিযোগ ছাত্রলীগ করেছিল তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি তদন্ত কমিটি।

গত ২৭ জানু্য়ারী আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিরা ক্যাম্পাসে সংগঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত গঠনার পরিপেক্ষিতে ২৯ জানু্য়ারী রাত ৯ টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। ছাত্ররা হল ছেড়ে চলে যাওয়ার আগ মুহুর্তে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ (প্রস্তাবিত) কমিটির কয়েক জন নেতা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর এর অভিযোগ তুলে।

উক্ত গঠনার পরিপেক্ষিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সহ -আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনকে আসামি করে সীতাকুন্ড মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে সকাল ১০ টায় ঘটনাটি সংঘঠিত হয় বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এর ফেইবুক ফেইজে রাত ৮টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে বলে তারা প্রকাশ করেন এবং মামলার এজাহারে উল্লেখ করা ৪ নং আসামী সাবেক প্রোক্টর ড. কাউছার আহমদ শারীরিক অসুস্থ থাকায় ঐ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। একই মামলার ৬ নং আসামি সহকারী প্রোক্টর মোঃ নিজাম উদ্দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুউপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি কারণে বিকাল ৫ টা ৪৭ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ প্রফেসর ড.মোঃ নাজমুল হক নাদভী কে তদন্ত কমিটির কনভেনার ও মোঃ ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিলেও ১৩ দিন পিছিয়ে ৯ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ঐ তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন এ কমিটি তাদের ৯টি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কোন শিক্ষার্থীর বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি প্রদর্শনের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় কেউ রাখলে নিজ দায়িত্বে তা সংরক্ষণ করতে হবে, অন্যথায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি যথাযত সংরক্ষণ না করার কারণে ছবি সংরক্ষণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে তদন্ত কমিটি উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন পূর্বক উক্ত কক্ষের সাথে সম্পৃক্ত সকলের ফরেনসিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধী সনাক্তকরণ ও তাদের দৃষ্টানতমূলক শাস্তির সুপারিশ করেন।

উল্লেখ্য যে, মামলার এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়ে তাদের কারো সম্পৃক্তা মেলেনি ঐ তদন্ত প্রতিবেদনে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার কর্ণেল মোহাম্মাদ আবুল কাশেম পিএসসি এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *