নির্বাচন বন্ধের পরিস্থিতি এখনো আসেনি: সিইসি

করোনাভাইরাসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন পেছানোর মতো এখনো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

নির্বাচনের দিন আধাবেলা অফিস খোলা থাকবে বলেও জানান সিইসি।

তিনি বলেন, সরকার করোনাকে জাতীয় দুর্যোগপূর্ণ অবস্থান ঘোষণা করেনি। সুতরাং নির্বাচন বন্ধ করার পরিস্থিতি এখনো আসেনি। নির্বাচনের দিন অর্থবেলা অফিস খোলা থাকবে। বিকেলের দিকে অফিস বন্ধ থাকবে। সীমিত আকারে যান চলাচলও রাখতে হবে।

‘কেন্দ্রে এজেন্ট না গেলে কিছু করার থাকে না’

এর আগে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সিইসি ভোটের দিন প্রার্থীর এজেন্টদের নিজ দায়িত্বে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। কেন্দ্রে ঢোকার পর কেউ যেন এজেন্টদের বের করে না দেয়, তা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন তিনি।

সিইসি নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। প্রথম অভিযোগ যেটা ব্যাপকভাবে আসে সেটা হচ্ছে পোলিং এজেন্টের ক্ষেত্রে। পোলিং এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না, তাদের বের করে দেওয়া হয় এমন অভিযোগ আমরা পাই। এই অভিযোগগুলো আমরা বিভিন্নভাবে পর্যালোচনা করে জানতে চাই, এগুলো সঠিক কি না। কারণ পোলিং এজেন্ট হচ্ছে নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাদের সবচেয়ে নির্ভরশীল ব্যক্তি। বুথে কোনো অনিয়ম হলে প্রতিরোধের ক্ষমতা তাদের দেওয়া থাকে। সেই এজেন্টদের নিজ দায়িত্বে নির্বাচন কেন্দ্রে আসতে হবে।

ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যখন একজন এজেন্ট নির্বাচন কেন্দ্র যাবেন, তার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। কেন্দ্রে যেতে না দেওয়া কিংবা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে আমরা দেখি, অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্টই যায়নি। কেন্দ্রে যদি এজেন্ট না যায়, তাহলে আপনাদের-আমাদের কিছু করার থাকে না।

ভোটারদের ভোট দিতে আসার অনুরোধ করে নুরুল হুদা বলেন, আপনারা নির্দ্বিধায় কেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন, যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবেন। এখানে আপনাদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না। ইভিএমের মাধ্যমে একজন ভোটার একবার ভোট দিলে আরেকবার দিতে পারবেন না। ইভিএম মেশিন তাকে গ্রহণ করবে না। জাল ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সিইসি’র স্বাগত বক্তব্যের পর রুদ্ধদ্বার কক্ষে সভা শুরু হয়। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *